বান্দরবানের সীমান্ত সড়কের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে সেনাপ্রধান
বান্দরবান প্রতিনিধি:
বান্দরবান : থানচি উপজেলার সীমান্ত সড়কের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
সীমান্ত সড়কগুলোর সার্বিক অবস্থা পরিদর্শনে ২১আগস্ট রবি বার হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে থানচির বাকলাই সেনাবাহিনীর ক্যাম্প অবতরন করে সড়ক পরিদর্শন ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন সেনা প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কোরের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদুর রহমান, সীমান্ত সড়ক প্রকল্প পরিচালক কর্ণেল এ এন এম ফয়েজুর রহমান,ভারপ্রাপ্ত উপ প্রকল্প পরিচালক মেজর সাঈদ মো. জাহিদুর রহমান, কোম্পানি অধিনায়ক,৩কনস্ট্রাকশন কোম্পানী, ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন ও প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর মোস্তফা কামালসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ইতোমধ্যে সড়কটির প্রায় ৬০শতাংশ কাজ সমাপ্ত হয়েছে,শীঘ্রই সড়কটির পুরোপুরি কাজ সমাপ্ত করে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে আর এতে পর্যটন শিল্প এর প্রসারের পাশাপাশি সীমান্তের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও এলাকার আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।
১৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন ও প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর মোস্তফা কামাল জানায়, সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ৩৫০০ফুট উচ্চতায় থানচি উপজেলায় সড়ক নির্মাণ করছে সেনাবাহিনী,নির্মাণ কাজ শেষ হলে সীমান্তের নিরাপত্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।
তিনি আরো জানান, জেলার থানচি উপজেলার বাকলাই,রেমাক্রী ও লিক্রি এলাকায় সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে নির্মিত হচ্ছে তিন পার্বত্য জেলার আন্ত:সংযোগ সড়ক। ৩১৭ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে রুমা, থানচি ও আলীকদম উপজেলার দুর্গম এলাকাগুলোতে নির্মিত হচ্ছে ৯২কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক। আন্ত:সংযোগ সড়কটির কাজ শেষ হলে উপকার হবে সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আর দুর্গম এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করা সহজ হবে আর এতে পাল্টে যাবে স্থানীয়দের জীবনমান।
তিনি আরো জানান, ২০১৮ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ব্রিগেড ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে তিন পার্বত্য জেলায় সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করে সেনাবাহিনীর ১৬, ২০ ও ২৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ান আর ২০২৪ সালে এই সড়কের ১ম পর্যায়ের কাজ সমাপ্ত হবে বলে আশাবাদ।
মৈত্রী/এফকেএ/এএ