মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমান
মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছেন পাকিস্তানে আটক ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমান। শুক্রবার ইসলামাবাদ থেকে সড়কপথে তাকে লাহোরে নিয়ে আসা হয়েছে। ওয়াঘা-আতারি সীমান্ত দিয়ে অভিনন্দনকে ভারতের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে ভারতের সীমান্ত এলাকায় অভিনন্দনকে বরণ করতে উৎসব শুরু হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষরাও যোগ দিয়েছেন এই আনন্দ উৎসবে। ওয়াঘা সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছেন অভিনন্দনের বাবা এয়ার মার্শাল এস বর্তমান এবং মা শোভা বর্তমান। ভারতীয় বিমানবাহিনীর সদস্যরা এবং সেনার কর্মকর্তারাও ওয়াঘা সীমান্তে পৌঁছে অভিন্দনকে গ্রহন করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টে যৌথ অধিবেশনে শান্তির বার্তা হিসেবে ওই পাইলটকে মুক্তির ঘোষণা দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
এদিকে ভারতীয় পাইলটকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে পাকিস্তানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো ইমরান খানের এমন পদক্ষেপে প্রশংসা করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলছে ইমরান বন্দনা।
মুক্তি পেয়ে দেশের পথে ভারতীয় পাইলট
আট্টারি-ওয়াঘা সীমান্ত। এখান দিয়ে অভিনন্দন বর্তমানকে হস্তান্তর করা হয়।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়, বুধবার সকালে আকাশে লড়াই করে ভারতের দুটি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করে তারা। এর একটি পড়ে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে, অন্যটি পড়ে ভারতীয় অংশে। যে বিমানটি পাকিস্তানের সীমানার মধ্যে ভূপাতিত হয় সেটার পাইলটকে আটক করে তারা।
এই ঘটনার পর পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ অধিদপ্তর (আইএসপিআর) দুইটি ভারতীয় যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত করার ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে। পাইলটের রক্তমাখা ছবি প্রকাশ হলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এদিকে প্রথম ভিডিওতে ওই পাইলটকে চোখ বাঁধা অবস্থায় দেখা যায়। পরবর্তীতে আরেকটি ভিডিও আপলোড করা হয়, যেখানে তাকে চোখ খোলা অবস্থায় একটি কাপে চা পান করতে দেখা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, পাকিস্তানের এক সেনা কর্মকর্তা ভারতের পাইলটকে তার বাড়ি কোথায় জিজ্ঞেস করেন। উত্তরে পাইলট বলেন, তার বাড়ি দক্ষিণ ভারতে। তার নাম অভিনন্দন বর্তমান।
এবার পাকিস্তানের ওই সেনা কর্মকর্তা জানতে চান তিনি বিবাহিত কিনা। উত্তরে পাইলট বলেন, বিবাহিত। তবে যখন তাকে প্রশ্ন করা হয় ‘আপনার মিশন কি ছিল?’, তখন এর থেকে বেশি কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান ওই পাইলট।
ভিডিওতে ভারতীয় পাইলট বলেন, পাকিস্তানি সেনারা আমাকে বিমান বিধ্বস্তের স্থান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এরপর তারা আমাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। আমি পাকিস্তানি সেনাদের ব্যবহারে মুগ্ধ। ভারতেরও উচিত এমন পথ অনুসরণ করা।