ওয়াহেদুল হকের বিষয় অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইবুনাল
লিলি ইয়াসমিন,
ঢাকা, লিগ্যাল ডেম্ক : মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের (৬৯) বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক (ফরমাল) অভিযোগ আমলে নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
আগামী ২৫ মার্চ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ এ আদেশ দেয়।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। আসামি ওয়াহিদুল হকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার।
প্রসকিউটর জেয়াদ আল মালুম জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। আজ ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২৫ মার্চ দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছে।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর আসামি ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রসিকিউশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত সংস্থা। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর এ মামলার তদন্ত শুরু করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান। এরপর ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর এ মামলার তদন্ত সম্পন্ন হয়। এ মামলায় মোট ৫৪জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ রবিবার বিকাল অনুমানিক ৪:৩০ ঘটিকার সময় অভিযুক্ত ক্যাপ্টেন (তৎকালীন) ওয়াহিদুল হক রংপুর ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৯ ক্যাভেলরি রেজিমেন্টের অ্যাডজুটেন্ট এর দায়িত্বে থেকে ৪টি সামরিক জীপে মেশিনগান লাগিয়ে গুলিবর্ষণ করে রংপুর সেনানিবাস সংলগ্ম এলাকায় ৫শ থেকে ৬শ স্বাধীনতাকামী বাঙ্গালীকে হত্যা, গণহত্যা ও অসংখ্য মানুষকে গুরুতর আহত করেন। গুলিবর্ষণ করে সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি ঘরে আগুন দিয়া পোড়ানো হয়। হত্যা, গণহত্যার শিকার মানুষের লাশ পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে গর্তে মাটি চাপা দেয়া হয়।
গত বছরের ২৪ এপ্রিল ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরপরই রাজধানীর বারিধারার বাসা থেকে ওয়াহিদুল হককে গ্রেফতার করা হয়।