ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন : বক্তারা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
ডেল্টা প্লান বা ব-দ্বীপ পরিকল্পনার প্রতিটি খাত বা ইউনিট ভেদে বিস্তারিত আলাদা মাস্টার প্লান থাকার প্রয়োজন এবং এর সঠিক বাস্তবায়নের জন্য জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আইবিএফবি’র নিজস্ব কার্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অফ বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়োজিত ডেল্টা প্লান বা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বিষয়ক এক সেমিনারে বিশিষ্টজনরা এমন অভিমত তুলে ধরেন।
আইবিএফবি’র সভাপতি হুমায়ুন রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর বজলুল এইচ খন্দকার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মু. সেলিম উদ্দিন, জাতীয় নদী সুরক্ষা কমিশনের সদস্য ড. মালিক ফিদা এ খান, আইবিএফবি’র সাবেক সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড.মুজিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সরকারের সিনিয়র সচিব প্রফেসর ড. শামসুল আলম।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মু.সেলিম উদ্দিন বলেন,ডেল্টা প্লানের প্রতিটি সেক্টর বা ইউনিট ভেদে বিস্তারিত পরিকল্পনা সমন্বয়ে একাট মাস্টার প্লান থাকা দরকার এবং এর সঠিক বাস্তবায়নের জন্য জাতীয়,আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমন্বয় হওয়ার প্রয়োজন।
প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম বলেন, ডেল্টা প্লানকে আরো যুগোপযোগী করার জন্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা যেমন, ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, এসডিজি প্লান ইত্যাদির সাথে এটিকে সমন্বয় করে এর বাস্তবায়ন করতে হবে।
মূল প্রবন্ধে প্রফেসর ড. শামসুল আলম সরকার বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান ২১০০ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলা ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে এ প্লানটি প্রণয়ন করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর গত ৪৭ বছরে এদেশের গড় তাপমাত্রা প্রায় ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে অথচ গড় বৃষ্টিপাতের পরিমান কমেছে। ১৯৭১ সালে গড় বৃষ্টিপাত ৬৪০ মিলিমিটার থেকে কমে ২০১৬ সালে ৩৭০ মিলিমিটারে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা করা না গেলে এদেশের উন্নয়ন টেকসই হবে না। এজন্য ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় প্রকৃতির সাথে সহাবস্থান ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
ড. মজিবুর রহমান ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।