ধর্মের নামে মানুষ হত্যা উদ্দেশ্যযুক্ত : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
রিন্টু চৌধুরী,
লিগ্যাল ভয়েস : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, যে সকল সন্ত্রাসী জঙ্গি ইসলামের নামে বিশ্বব্যাপী জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করছে তারা শান্তির ধর্ম ইসলামের ক্ষতি করছে। নিরপরাধ মানুষ হত্যা ইসলাম সমর্থন করে না। কোনো মুসলমান এ ধরনের নিরপরাধ মানুষ হত্যা করলে তারা মুসলমান নামের কলঙ্ক।
আজ সোমবার আগারগাঁওস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ৭ম আন্তর্জাতিক মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রামাণ্য চিত্র উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি রবিউল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘নতুন যুগ নতুন সিনেমা’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে অনুষ্ঠিত প্রামাণ্য চিত্র উৎসবে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, চলচ্চিত্র উৎসবের পরিচালক তারেক আহমেদ, ইন্টারন্যাশনাল মেন্টর ভারত থেকে আগত নীলোৎপল মজুমদার, ন্যাশনাল মেন্টর এম রাশেদ চৌধুরী, প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসবের জুরি বোর্ডের অন্যতম সদস্য প্রফেসর কাবেরী গায়েন।
মোজাম্মেল হক বলেন, পাকিস্তানিদের তেইশ বছর এবং স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের শাসনামলে মিথ্যাচার করে জাতির বিবেককে কলুষিত করা হয়েছে, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানো হয়েছে, বিভিন্নভাবে দেশের বিভাজন সৃষ্টি করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের এই উন্নয়নে দল মত জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
১৮ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক এ চলচ্চিত্র উৎসবে জুরি বোর্ডের সিদ্ধান্তে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে ফুয়াদ চৌধুরী পরিচালিত মারসিলেস মেহিম, ইয়াং ফিল্ম মেকারদের ১১টি প্রজেক্টের মধ্যে প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণে সহায়তার জন্য শ্রেষ্ঠ নির্মিতব্য চলচ্চিত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে এ মানডোলিম ইন এক্সজাইল, বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরা’ এবং ঢাকা ডকল্যাব কর্তৃক নির্বাচিত হয়েছে কৃষ্ণকলির ছবি এনওসি।
এ উৎসবে কর্মশালা, গ্রুপ ডিসকাসন ও প্রতিযোগিদের ওয়ান টু ওয়ান মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।
উৎসবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম সেকশন, ১৯৭১ এন্ড বোন্ড এবং ওয়ানমিনিট ফিল্ম সেকশন শিরোনামের তিনটি বিভাগে ছবি প্রদর্শিত হয়।
বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ বঙ্গবন্ধু : দি লিবারেটর। .
পরে মন্ত্রী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে অনুদান, সনদপত্র এবং ক্রেস্ট বিতরণ করেন।