‘আনিসুল হকের পরিকল্পনাগুলো এগিয়ে নেয়াই আমার লক্ষ্য’
এক বছরের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়রের দায়িত্ব পাবেন নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম। বিজয়ের পর প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের কাজগুলো এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবারের (২৮ ফেব্রুয়ারি) উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আতিকুল ইসলাম ডিএনসিসির মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর গণমাধ্যমে বলেন, ‘আনিস ভাই (আনিসুল হক) কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করে স্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি ঢাকা উত্তর সিটিকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তার অবদান শুধু নগরবাসী নয়, পুরো দেশবাসী স্মরণ রাখবে। আমার প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব হবে তিনি যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন সেগুলো এগিয়ে নেওয়া। তার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আনিস ভাই যে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে উঠে এসেছেন আমিও সেখান থেকে উঠে এসেছি। তিনি প্রমাণ করে গেছেন, ব্যবসায়ীরাও রাজনীতিতে ভালো কিছু করতে পারেন। আমার ইচ্ছাও একই। তার দেখানো পথ অনুসরণ করে আমিও প্রমাণ করতে চাই।’
২০১৫ সালের এপ্রিলে মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার পর নাগরিকবান্ধব কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেন আনিসুল হক। এর মধ্যে, সবুজ ঢাকা কর্মসূচি, তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা থেকে ফার্মগেট রেলগেট পর্যন্ত সড়কের অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ, আমিন বাজার টু শ্যামলী সড়ক পার্কিং-ফ্রি ঘোষণা, মহাখালীতে ডিএনসিসির উইমেনস হলিডে মার্কেট, হয়রানি রোধে ঠিকাদারদের বিল অফিসে পৌঁছে দেওয়া, সড়কে আধুনিক সাড়ে চার হাজার বাস সার্ভিস চালু, কারওয়ান বাজার ডিএনসিসি মার্কেট থেকে ব্যবসায়ীদের মহাখালী ও যাত্রাবাড়ীতে স্থানান্তর, সড়কে এলইডি বাতি লাগানো এবং হাতিরঝিলের আদলে রামপুরা খালের পরিবর্তন ছিল অন্যতম। কিন্তু তার মৃত্যুতে এসবের মধ্যে তেজগাঁও সাতরাস্তা সংলগ্ন ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ ও আমিন বাজার টু শ্যামলী সড়ক পার্কিং-ফ্রি ঘোষণা ছাড়া বাকি উদ্যোগগুলো থমকে যায়। অসমাপ্ত এই পরিকল্পনাগুলো এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে নগর ভবনের দায়িত্ব নিচ্ছেন আতিকুল ইসলাম।
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘নগরবাসীর ভালোবাসা ও ভোটের মাধ্যমে আমি নির্বাচিত হয়েছি। আমার দায়িত্ব হবে, ঢাকা শহর থেকে জলাবদ্ধতা দূর করা। চলাচল উপযোগী ফুটপাত তৈরি করে দেওয়া। ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় নাগরিক সেবাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা।’
তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে রেলগেট পর্যন্ত সড়কটির পুরোটা দখল করে ট্রাকস্ট্যাড করে রাখা হয়েছিলো। আনিসুল হক দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই পুরো সড়কটি দখল মুক্ত করার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে ট্রাক চালক ও মালিকদের প্রতিবাদের মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে। কিন্তু সিদ্ধান্তে অনড় আনিসুল হক সেই ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করে যানচলাচলের জন্য সড়কটি উন্মুক্ত করে দেন। সেই থেকেই তার ওপর আস্থা বাড়ে নগরবাসীর। এছাড়া রাজধানীর বনানীতে পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক গভর্নর মোনায়েম খান পরিবারের অবৈধ দখলে থাকা সড়কের জায়গার অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়ে সাহসের পরিচয় দেন তিনি।