ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও শংকামুক্ত নন: কনক কান্তি বড়ুয়া

স্টাফ রিপোর্টর

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও তিনি শংকামুক্ত নন।
অন্যদিকে বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতিতে তাকে বিদেশে নেয়ার মতো অবস্থা নেই। তবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যদি প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকেন তাহলে নেয়া যেতে পারে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা শতভাগ আশাবাদী, তবে শংকা মুক্ত নই। ওনার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। উনি চোখ খুলছেন, পা নাড়াচ্ছেন এবং কথা বলার চেষ্টা করছেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিল্টন হলে আয়োজিত জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আলী আহসান, অধ্যাপক ডা. অসীত বরণ অধিকারি উপস্থিত ছিলেন।
কনক কান্তি বড়ুয়া সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা সকলকে জানিয়ে দেন আমরা যেন নিরিবিলি তার চিকিৎসা করতে পারি। কেউ যেন ভিড় না করেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নাম ধরে ডাক দিলে ওবায়দুল কাদের মিট মিট করে তাকিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতির আহবানেও তিনি বড় চোখ করে এবং একইভাবে মোহাম্মদ নাসিম যখন তাকে ডাকেন তখনো কাদের চোখ খুলে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানান এ চিকিৎসক।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আলী আহসান বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের বর্তমাানে যে শারিরীক অবস্থা, তাকে বিদেশে নেয়ার মতো অবস্থা নেই। তবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যদি প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকেন তাহলে তারা অ্যালাউ করতে পারেন।’ এছাড়াও বিদেশে নেয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দেখছে বলে জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের আজ সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেতুমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, রোববার ফজরের নামাজ শেষে হঠাৎ করেই তার শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তার শরীর চেকআপ করেন। পরামর্শ দেন দ্রুত এনজিওগ্রাম করার। পরে তার এনজিওগ্রাম করা হয়।

দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, ওবায়দুল কাদেরের তিনটি ব্লক ধরা পরেছে। এরই মধ্যে একটি ব্লক অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়াও তাকে ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে যান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী থেকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় পৌঁছেন। সেখান থেকে তিনি সরাসরি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) যান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও সেতুমন্ত্রীর চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং আশু সুস্থতা কামনা করেন।

এছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আসুস্থ হওয়ার খবর শুনে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *