বিনোদন ও শিল্পকলাশতবর্ষী নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসব শেষ হলো
লোপা রাকিব,
ঢাকা, লিগ্যাল ডেস্ক : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত ‘ বাংলাদেশে শতবর্ষী নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসব-২০১৯’ শেষ হলো। রাজধানী ঢাকাসহ ২৬টি জেলায় প্রথম বারের মতো এই অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের ২৬টি জেলার ৩৫টি শতবর্ষী নাট্যমঞ্চে উৎসবে নাটক, নাটকের গান, নৃত্য, নাটক সম্পর্কে সেমিনার, আলোচনাসভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। গৌরময় শতবর্ষী নাট্যমঞ্চে এ ধরনের নাট্য উৎসব দেশে এই প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো।
শিল্পকলা একাডেমির নাট্যবিভাগ থেকে বাসসকে আজ এ সব তথ্য জানান হয়। উৎসবে রাজধানীসহ জেলাগুলোর অর্ধশত গ্রুপ থিয়েটার ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের দেড়শত শিল্পী অংশ নেন।
উৎসব সম্পর্কে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী বাসসকে আজ জানান, দেশের এই সব নাট্যমঞ্চগুলোতে নাটক করে শত শত অভিনেতা ও নাট্যজন সৃষ্টি হয়েছেন। আমার ভাবনায় বিষয়টি মারাত্বকভাবে স্মৃতিভাস্বর হয়ে উঠে। এই চিন্তা থেকে শতবর্ষের নাট্যমঞ্চগুলো সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের নাট্য ও সংস্কৃতিকর্মীদের জানান দেয়ার জন্যই একাডেমির উদ্যোগে উৎসবটি আয়োজন করা হয়। মনে হয়,নাটকের ইতিহাসে শুধু নয় আমাদের সংস্কৃতির ইতিহাসের এই গৌারবময় কীর্তিগুলো দেশবাসির অন্তরে নতুন করে ঠাঁই নেবে।
শতবর্ষী যে সব নাট্যমঞ্চে উৎসব পালিত হয়, এগুলো হচ্ছে, কুমিল্লা টাউন হল, কুষ্টিয়া পরিমল থিয়েটার, খুলনা নাট্য নিকেতন, গাইবান্ধা নাট্যসংস্থা, গাজীপুর ভাওয়াল রাজবাড়ি নাট্যমন্ডপ, ঝিনাইদহ করোনেশন ড্রামাটিক ক্লাব, টাঙ্গাইল করোনেশন ড্রামাটিক ক্লাব, ঠাকুরগাঁও এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হল, দিনাজপুর নাট্য সমিতি, নীলফামারী ডোমার নাট্য সমিতি মঞ্চ, নওগাঁ করোনেশন হল, পাবনা বনমালী ইন্সটিটিউট, বাগেরহাট টাউন হল, ফরিদপুর টাউন থিয়েটার, বগুড়া এডওয়ার্ড ডামাটিক মঞ্চ, বরিশালের অশ্বিনী কুমার হল , ময়মনসিং টাউন হল, অমরাবতী নাট্যমন্দির, এলপি মিশ্র ইন্সটিটিউট, দূর্গাবাড়ি নাট্যমন্দির, মাগুড়া টাউন হল, যশোর বি সরকার মেমোরিয়াল হল, রংপুর টাউন হল, রাজশাহী রাজা প্রমদানাথ টাউন হল, রাজবাড়ি সফিউর রহমান মিলনায়তন, ললিতমনোহন হল, সিলেট ক্ষিরোদ মেমোরিয়াল মঞ্চ, নাটমন্দির, ব্রক্ষ্রমন্দির, বন্দর বাজার হল, মনিপুরী রাজবাড়ি নাটমন্দির, মালনিছড়া চা বাগান নাটমন্দির, সিরাজগঞ্জ পৌর ভাষানী মিলনায়তন এবং ঢাকার মাহবুব আলী ইন্সটিটিউট মিলনায়তন, লালকুঠি ও কার্জন হল।
শিল্পকলা একাডেমির নাট্য বিভাগ থেকে জানান হয়, ৭ মার্চ এই উৎসব উদ্বোধন করা হয় ঢাকার হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারে। ঢাকায় তিনদিনব্যাপী এবং অন্যান্য জেলায় ১৩ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন শতবর্ষী মঞ্চে মোট সত্তরটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। উৎসবে জেলাগুলোর নাট্য ব্যক্তিত্ব, সংস্কৃতিজন এবং লেখকরা অংশ নেন।