ক্যান্সারে আক্রান্ত ছেলেকে সারানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাকে ধর্ষণ করলো ধর্মীয় গুরু
ছেলের ক্যানসার সারিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাকে ধর্ষণ করল ভারতের এক ধর্মীয় গুরু। শুধু তাই নয় ওই নারী ও তার স্বামীর থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকাও আদায় করেছেন তিনি। গত বছর মৃত্যু হয়েছে ক্যানসার আক্রান্ত ১০ বছরের শিশুর।
চেম্বুরের ওই দম্পতির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ধর্মীয়গুরুর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ধর্ষিতা নারীর স্বামী একজন বিজ্ঞানী। তারা দুজনই অত্যন্ত ধর্মবিশ্বাসী। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘২০১৭ সালে ছেলের ক্যানসার ধরা পড়ার পর পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিল ওই দম্পতি। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও, চিকিত্সায় খুশি ছিলেন না তাঁরা। ২০১৭ সালের মে মাসে একটি মন্দিরে ওই গডম্যানের সঙ্গে দেখা হয় শিশুটির মায়ের। তিনি গোটা ঘটনা তাঁকে খুলে বলেন। কিছু ধর্মীয় আচারের মাধ্যমে ছেলেকে সুস্থ করে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয় ওই ধর্মীয় গুরু।’
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, নারীর বাড়িতে গিয়ে যজ্ঞ করে অভিযুক্ত। যজ্ঞের সময় মা ও ছেলেকে ‘পবিত্র’ বলে দাবি করে কিছুটা ছাই খেতে বলে সে। তবে সেটি খাওয়ার পরই দুজনে অজ্ঞান হয়ে যায় বলে অভিযোগ। তাদের যখন জ্ঞান ফেরে, তখনও সেই ধর্মগুরু সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ছেলেকে সারিয়ে তুলতেই এমনটা করতে হয়েছে। এরপর ওই মহিলার থেকে কিছু গয়না ও নগদ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।
কিছুদিন পর অভিযুক্ত ফের মহিলাটিকে ফোন করে বলে, তার ছেলের শরীরে আরও কিছু জটিলতা দেখতে পেয়েছে সে। সে বিষয়ে জানতে নিজের আন্ধেরির ফ্ল্যাটে মহিলাটিকে ডেকে পাঠায় সে। সেখানেই শিশুটির মাকে যৌন নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। বলা হয়, এটাও ধর্মীয় বিধি মেনেই হচ্ছে। গোটা ঘটনা ক্যামেরায় রেকর্ডও করে নেয় লোকটি। এরপর সেই ভিডিয়ো ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করে সে।
পুলিশ জানিয়েছে, ‘যৌন নিগ্রহের কথা ওই নারী তার স্বামীকে জানাননি। তিনিও ধর্মীয়গুরুর কথায় বিশ্বাস করে তাকে প্রায় ৩ লাখ টাকা দেন ছেলেকে সুস্থ করার জন্য। শহরের নামী ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি ছিল শিশুটি। কিন্তু তার বাবা-মায়ের মগজধোলাই করেছিল ওই গডম্যান।’ গত বছর শিশুটি মারা যাওয়ার পরও হুমকি চালিয়ে যান তিনি। গত সপ্তাহ পর্যন্ত এমনটাই চলে। এরপর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই দম্পতি পুলিশে অভিযোগ জানান।