লন্ডন হাইকমিশনে ৪৮তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

মির্জা গালিব,

মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধে উদ্দীপ্ত একটি প্রগতিশীল ও ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আরো শক্তিশালী করার অঙ্গীকার নিয়ে বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডনে মঙ্গলবার স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিলো সকালে হাইকমিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর শহীদ পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের আত্মার মাগফেরাম কামনা করে বিশেষ দোয়া।

আজ বুধবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
দিবসটি উপলক্ষে বিকেলে কেনজিংটন টাউন হলে এক সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলম ও মো. নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার)-এর সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন, যুক্তরাজ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ, প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী রুনা লায়লা, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক এবং বিশিষ্ট অভিনেত্রী শমী কায়সার।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সবাইকে শরীক হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধে উদ্দীপ্ত, প্রগতিশীল ও ধর্ম নিরপেক্ষ একটি দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার আহবান জানান।

তিনি বলেন, ‘২৬ মার্চ বাঙালির পরাধীনতার শৃংখল ভাঙ্গার দিন। এদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সাম্প্রতিক উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে হাইকমিশনার বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে প্রবাসীদের কন্স্যুলার ও কল্যাণ সেবায় মার্চ মাসে হাইকমিশনে ২৪ ঘন্টার হেল্প লাইন চালু করা হয়েছে।

৩০ ডিসেম্বরকে প্রবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দপ্তরে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়া হয়েছে এবং হাইকমিশনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদানের ব্যবস্থা করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে আগত পার্বত্য নৃ-গোষ্ঠির শিল্পীরা অংশ নেন

দিনের কর্মসূচির মধ্যে আরো ছিলো বরফ নির্মিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এ স্মৃতিসৌধ ঘীরে অতিথি-দর্শকরা অগণিত ছবি তুলেন। এছাড়া বাংলাদেশ বিমানের সৌজন্যে এক র‌্যাফেল ড্রতে ঢাকা-লন্ডন রুটের টিকেট দেয়া হয়।

অভ্যাগত অতিথিদের নিয়ে হাইকমিশনার স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৪৮তম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে একটি কেক কাটেন। এরপর আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়নের মাধ্যমে বর্নীল অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *