ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ- মোস্তাফা জব্বার

রোহান রহমান,

ঢাকা, লিগ্যাল নিউজ ডেস্ক : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে গত দশ বছরে বাংলাদেশ ডিজিটাল শিল্পবিপ্লবে বৈশ্বিক সক্ষমতায় পৌঁছেছে। ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ফাইভ-জি চালু করা সম্ভব হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তখন ইন্টারনেটের গতি হবে ২০ জিবিপিএস।’

টেলিযোগাযোগ স্টাফ কলেজ, গাজীপুরে ৬৮তম বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ- উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘দেশে ২ হাজার ৭৬০টি সেবা ডিজিটাল করা দরকার। এর মধ্যে ৯৬০টি সেবা জনগণের কাছে পৌঁছানো প্রয়োজন। স্মার্ট ফোনেই জনগণ ঘরে বসে এসব সেবা পাবেন।’

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতির ফলে আগামী দিনের শিক্ষাব্যবস্থা, জ্ঞান অর্জন ও প্রশিক্ষণ শ্রেণিকক্ষে সীমিত থাকবে না। প্রযুক্তিতে পরিবর্তন অনিবার্য, কর্মজীবনে এ পরিবর্তনের সাথে নিজেদের খাপ খাওয়াতে না পারলে টিকে থাকা যাবে না।

প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নবীনদেরকে সামনের কর্মজীবনের জন্য নিজেদের তৈরি করতে এবং প্রযুক্তি প্রয়োগে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সামনের যুগটা মেধার ও জ্ঞানের। নিজেদের জীবনের চ্যালেঞ্জ নিজেদেরকেই নিতে হবে।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্ঞানভা-ার ইন্টারনেট। জ্ঞানের জন্য যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করবে না ৫ বছর পর ব্যর্থতার দায় তাদের নিজেদেরকেই বহন করতে হবে।’
তিনি বলেন, টু-জি, থ্রি-জি ও ফোর-জি প্রযুক্তি চালুর ক্ষেত্রে বিশ্বে অন্যদেশ থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল। কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশ যেখানে ফাইভ-জি চালু করার চিন্তাই করেনি, সেখানে বাংলাদেশ ফাইভ-জির সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। ফাইভ-জি চালুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একদিনও পিছিয়ে যাবে না।

মোস্তাফা জব্বার বুনিয়াদী প্রশিক্ষণে অংশ্রগ্রহণকারী নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আগামী ৫ বছরের ভেতর যদি ডিজিটাল সরকার চালানোর যোগ্যতা আপনারা অর্জন করতে না পারেন তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতি সামলানো আপনাদের জন্যই কঠিন হবে।’

টেলিযোগাযোগ স্টাফ কলেজের মহাপরিচালক খান আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মহিবুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *