বাংলাদেশে বিনিয়োগে কাতার সরকারকে আহবান স্পিকারের
ঢাকা, লিগ্যাল ডেস্ক : ঔষধ, আইসিটি ও বিদ্যুৎখাতসহ বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য কাতার সরকারকে আহবান জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শুক্রবার কাতারের দোহায় ১৪০তম আইপিইউ এসেম্বলির মূল ভেন্যু শেরাটন কনভেনশন সেন্টারে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে কাতারের শুরা কাউন্সিলের স্পিকার এইচ ই মি.আহমেদ বিন আবদুল্লা বিন জাইদ আল মাহমুদ সৌজন্য সাক্ষাৎকালে স্পিকার এ আহবান জানান।
সাক্ষাতকালে তারা সংসদীয় গণতন্ত্র, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন এবং দ্বি পাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন ও বাণিজ্যের প্রসার নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সফলতা অর্জন করেছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩৫০০ মেগাওয়াট। সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার মাধ্যমে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। সরকার সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়।
তিনি বলেন,এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। নিজ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে খাদ্য রপ্তানির দ্বারপ্রান্তে এখন বাংলাদেশ ।
বাংলাদেশের সাথে কাতারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এ কথা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, সংসদ সদস্যদের মধ্য পারস্পরিক সফর ও অভিজ্ঞতা বিনিময় ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে।
শুরা কাউন্সিলের স্পিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বাণিজ্য প্রসারে কাতার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে বলে স্পিকারকে আশ্বস্ত এবং দুদেশের জনগণের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনে কাতারের আগ্রহের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কাতারে অনুষ্ঠিতব্য ১৪০তম এসেম্বলির সার্বিক সফলতা কামনা করেন। অন্যদিকে ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সফলতা কামনাসহ শুরা কাউন্সিলের স্পিকারকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এসময় জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমদ খান এবং কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ আহমদ উপস্থিত ছিলেন।