এসডিজি অর্জনে গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা চেয়েছেন আবুল কালাম আজাদ
রওশন আলী,
লিগ্যাল ভয়েস : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কারী মো. আবুল কালাম আজাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে গণমাধ্যমের কার্যকর ভুমিকার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ আজ ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দশটি বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
বাসস’র ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তৃতা করেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেক, আশ্রায়ন প্রকল্পের পরিচালক যুগ্মসচিব মাহবুব হোসেন, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব আকবর হোসেন, বাসস’র প্রধান বার্তা সম্পাদক আনিসুর রহমান এবং নগর সম্পাদক মধুসূদন মন্ডল।
কর্মশালার সঞ্চালনা করেন বাসস’র বিশেষ সংবাদদাতা মাহফুজা জেসমিন।
এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো ইতিবাচকভাবে গণমাধ্যমে তুলে ধরা হলে এসডিজি বাস্তবায়ন আরো সহজতর হবে।
এসডিজির ১৭টা লক্ষ্যই প্রধানমন্ত্রীর ১০ বিশেষ উদ্যোগের সাথে নানাভাবে সম্পৃক্ত হয়ে গেছে। এসডিজি বাস্তবায়ন করতে কাউকে পিছনে ফেলে নয়, সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যেতে হবে।
সরকার শতবর্ষ মেয়াদী ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,ডেল্টা প্ল্যান অনুযায়ী ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালে উন্নয়ন জংশন, ২০৪১ সালে সোনার বাংলা, ২০৭১ সালে সমৃদ্ধির সর্বোচ্চ শিখর এবং ২১০০ সালে নিরাপদ ব-দ্বীপ।
এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ১৭ টি গোল, ২৩২ টি ইন্ডিকেটর রয়েছে। আর এমডিজি অর্জনের মতোই এসডিজিও বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তথ্যসচিব আবদুল মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) সাফল্যে বাংলাদেশ শীর্ষে ছিল। এসডিজিও সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভবপর হবে।
তিনি বলেন, সরকার কোন হাওয়া ভবন বানায়নি উন্নয়ন ভবন বানিয়েছে। বিশ্ব দরবারে দেশের উন্নয়নের বার্তা পৌছে গেছে।
শোভন কাজ ও মজুরি সম্পর্কে তথ্য সচিব বলেন, সাংবাদিকদের নবম ওয়েজ বোর্ডের গ্যাজেট খুব শিগগির প্রকাশ করা হবে।
আকবর হোসেন বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দরিদ্র হ্রাস ও সুবিধাবঞ্চিতদের আনতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ পর্যন্ত ৪৩ লাখ পরিবার সুফলভোগী হয়েছে। ৫৫ লাখ পরিবারকে এর আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ টি উদ্যোগকে আরো সম্প্রসারিত করতে দেশের প্রতিটি গণমাধ্যমে একটি করে নিউজ কর্ণার থাকা প্রয়োজন। যাতে এই বিষয়ে প্রতিবেদন করে দরিদ্র মানুষদের উদ্বুদ্ধ করা যায়।
মাহবুব হোসেন বলেন, দেশের ৬৪ টি জেলায় আশ্রায়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিপন্ন মানুষের আশ্রয় ও গৃহহীনের আবাসন নিশ্চিত করতে সরকার ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে ২০১৬ টি প্রকল্প গ্রামে ১৯ হাজার ১৬৭ টি ব্যারাকে ২ লাখ ৮৫ হাজার ১৮৫ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পূনর্বাসিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে এ প্রকল্পের আওতায় আশ্রায়ণ প্রকল্পের পরিধি আরো বৃদ্ধি করে সবার জন্য বাসস্থানের মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে। অবশিষ্ট ৬৫ হাজার পরিবারের জন্য পুনর্বাসন ও গৃহনির্মাণের কার্যক্রম চলছে।
অনুষ্ঠানে ‘উন্নয়নের সোপানে বাংলাদেশ-২ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।