ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন ! সংসদীয় কমিটি
জিল্লুর রহমান,
লিগ্যাল ভয়েস : বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন খসরু লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মানুষের হয়রানি হচ্ছে। লাখ লাখ মামলা ঝুলে আছে। আমরা দ্রুত এই ট্রাইব্যুনাল করতে বলেছি।”
সংসদীয় কমিটির কার্যপত্র থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালে দ্য স্টেট এক্যুইজেশন অ্যান্ড টেনান্সি অ্যাক্ট-১৯৫০-এ সংশোধনী এনে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। এতে দায়ের করা আড়াই লাখের বেশি মামলার বিপরীতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মাত্র ২৬ হাজার ৫১৫টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। ২০০৪ সালের আইনেই সারা দেশে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান রাখা হয়।
২০১২ সালে এই আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের গেজেট করা হয়। এর জন্য আটটি পদ সৃজনও করা হয়। পরে এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে কিছু সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। যেগুলোর কোনটাই বাস্তবায়ন হয়নি।
২০১৭ সালে এ সংক্রান্ত আইন সংশোধন বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাঝে মতামত চায় আইন মন্ত্রণালয়। যার কোন জবাব এখনও দেয়নি ভূমি মন্ত্রণালয়।
সংসদীয় কমিটি তাদের পরবর্তী বৈঠকে অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্টের রেজিষ্ট্রার এবং ভূমি সচিবের উপস্থিতিতে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন নিয়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে ভূমি নিবন্ধন ফি কীভাবে নির্ধারণ করা হয় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে ভূমি রেজিস্ট্রেশন নিয়ে জনদুর্ভোগের কারণ এবং এর জন্য কারা জড়িত এবং কীভাবে তাদের হাত থেকে জনগণকে সহায়তা দেওয়া যায়, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিটিতে দেয়ার সুপারিশ করা হয়।
দেশের জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে ভূমি রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি ডিজিটাইজেশন বিষয়ে আলোচনা হয়।
কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন খসরুর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য সাহারা খাতুন, শামসুল হক টুকু, আব্দুল মজিদ খান, শেখ ফজলে নুর তাপস, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এবং আবদুস সাত্তার ভূঞা অংশ নেন।