৮,০৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১ প্রকল্পের অনুমোদন

গোলাম রব্বানী,

লিগ্যাল ভয়েস ডেস্ক : বাংলাদেশের ৩০টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পসহ মোট ১১ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে ৮ হাজার ৫৩ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত ব্রিফ করেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ৮ হাজার ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১১টি প্রকল্পের আজ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ৩ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৫৫১ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা হিসেবে প্রকল্প সাহায্য পাওয়া যাবে ৪ হাজার ১১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পসমূহ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
পরিকল্পনা সচিব নুরুল আমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী হাইওয়ে সড়ক নির্মাণের সময় চালকদের বিশ্রামাগার নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্রামাগার নির্মাণের জায়গা কোথায় হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

পরিকল্পনা সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী পৌরসভার বাইরে ইউনিয়ন পর্যন্ত পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সুবিধা পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর জন্য কত টাকার প্রয়োজন হবে, তার হিসাব নিকাশ করতে বলেছেন তিনি।

একনেক সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকাপ ক্রিকেটে গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে বাংলাদেশ বিজয় লাভ করায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান।
একনেক অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে-নেত্রকোণা-কেন্দুয়া-আঠারবাড়ী-ঈশ্বরগঞ্জজেলা মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৭১০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। বাংলাদেশের ৩০টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ হাজার ৭৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসমূহের ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে ৫৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩৫২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ‘ইনভেস্টমেন্ট কম্পোনেন্ট ফর ভালনারএ্যাবেল গ্রুপ ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম’ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩১৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

এছাড়া কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩২৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ১২৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। প্রাণিসম্পদ উৎপাদন উপকরণ ও প্রাণিজাত খাদ্যেও মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার স্থাপন প্রকল্পে খরচ হবে ১০৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

খুলনা ৩৩০ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯১৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা। রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৯১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। বিসিক শিল্প পার্ক, টাঙ্গাইল প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২৯৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *