নকল, ভেজাল ওষুধ নির্মূলে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে : মেজর জেনারেল মো: মাহবুবুর রহমান
লিগ্যাল ভয়েস ডেস্ক : ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেছেন, নকল, ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নির্মূলে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। আগামী ২ জুলাইয়ের মধ্যে ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ফার্মেসি থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ যাতে ফেরত নেয়, সে লক্ষ্যে সারা দেশে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ও বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি কাজ করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত জনসচেতনতামূলক সভায় এসব কথা বলেন তিনি। রাজশাহীর পাশাপাশি ঢাকার মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এলাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নির্মূলে অধিদপ্তরের উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিষয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে সচেতন হতে হবে উল্লেখ করে বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ একটি ওষুধও যেন ক্রেতার হাতে না পৌঁছে। ফার্মেসির কোথাও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ মজুদ বা সংরক্ষণ করা যাবে না। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির জন্য সেলফ বা ড্রয়ার কিংবা রেফ্রিজারেটর অথবা ফার্মেসির অন্য কোথাও পাওয়া গেলে তা জব্দ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ আলাদা কনটেইনারে ‘মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির জন্য নয়’ লাল কালি দিয়ে লিখে সংরক্ষণ করতে হবে এবং যথাশিগগির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। এ বিষয়ে রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে। ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেলে ফার্মেসি সিলগালা করাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সচেতনতামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ও শনিবার নাটোরে সভা করবেন মহাপরিচালক। একই সঙ্গে তিনি রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরে মডেল ফার্মেসি ও মডেল মেডিসিন শপ উদ্বোধন করবেন।