ভয়ঙ্কর মাদক ‘ক্রিস্টাল মেথ’সহ নাইজেরীয় আটক

ক্রাইম রিপোর্টার,

লিগ্যাল ভয়েস ডেস্ক : রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে মেথামফিটামিন মাদকসহ এক নাইজেরীয় নাগরিককে আটক করেছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। আনাইওচুকোয়া ওনিয়েনসি নামের ৩৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির কাছ থেকে আধা কেজি ক্রিস্টাল মেথ পাওয়া গেছে, যা মাদকসেবীদের কাছে আইস নামে পরিচিত।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মোসাদ্দেক হোসেন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে হোটেল লো মেরিডিয়ানের উল্টো দিকের সড়ক থেকে ৫০ গ্রাম আইসসহ ওই নাইজেরীয়কে আটক করেন অধিদপ্তরের গোয়েন্দারা। পরে তার দেওয়া তথ্যে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এক ফ্ল্যাট থেকে আরও ৪৭২ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আশা ইউনিভার্সিটি থেকে বি ফার্মা পাস করার পর দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাতেই অবস্থান করছিলেন ওই নাইজেরিয়ান নাগরিক। মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, সে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মাদকের কারবারে জড়িয়ে যায়।

ওনিয়েনসি বিভিন্ন সময়ে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারত ও কেনিয়া ভ্রমণ করেছেন বলে তথ্য দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।

অতিরিক্ত পরিচালক মোসাদ্দেক বলেন, “ক্রিস্টাল মেথ বা আইস ইয়াবার চেয়ে শতগুণ শক্তিশালী মাদক। সরকার ইয়াবা পাচার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ায় সে এদেশের মাদক কারবারিদের কাছে তুলনামূলকভাবে কম দামে আইস বিক্রি শুরু করে।”

মালয়েশিয়ায় যেখানে ১ গ্রাম আইসের দাম ১৫ হাজার রিঙ্গিত (তিন লাখ টাকার বেশি), সেখানে ওনিয়েনসি ঢাকায় ৭ থেকে ১০ হাজার টাকায় আইস বিক্রি করছিলেন বলে জানান মোসাদ্দেক।

“জিজ্ঞাসাবাদে এই নাইজেরিয়ান নাগরিক জানায়, ৫/৬ দিন আগে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে উগান্ডা থেকে মাদকের ওই চালান তার কাছে আসে। সে বলেছে, মা মারা যাওয়ায় দ্রুত ওই মাদক বিক্রি করে নাইজেরিয়ায় ফিরে যেতে চাইছিল সে।”

গত ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর জিগাতলার এক বাসায় আইস তৈরির কারখানার সন্ধান পায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। হাসিব মোহাম্মদ মুয়াম্মার রশিদ নামের এক যুবক মালয়েশিয়ায় পড়তে গিয়ে ক্রিস্টাল মেথ বানানো শেখেন এবং দেশে ফিরে গবেষণাগারের আদলে ওই কারখানা গড়ে তোলেন।

ওই কারখানা থেকে সে সময় ক্রিস্টাল মেথের পাশাপাশি ইয়াবা তৈরির উপকরণ মিথাইল অ্যামফিটামিন, ক্রিস্টাল মিথাইল অ্যামফিটামিন, এমডিএমএ তৈরির উপকরণ মিথাইল ডাই অক্সিম্যাথা অ্যামফিটামিনসহ ১৩ ধরনের উপকরণ জব্দ করেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তবে হাসিবকে তারা সে সময় ধরতে পারেননি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *