পুঁজিবাজারে না এলে বিমা কোম্পানির সনদ বাতিল
ভূইয়া আসাদুজ্জামান /লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
দেশে জীবন ও সাধারণ বিমার ৭৮টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ৪৭টি কোম্পানি পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত। বাকি ৩১টি কোম্পানি এখনো তালিকাভুক্ত হয়নি। যারা এখনো তালিকাভুক্ত হয়নি তাদের আগামী তিন মাসের মধ্যে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত হতে হবে। না হলে তাদের সনদ বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
রবিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সরকার একটা উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিমা কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স দিয়ে থাকে। সরকারের উদ্দেশ্য পূরণ না হলে লাইসেন্স বাতিল হবে। বিমা কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে এলে বাজার আরও শক্তিশালী হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘একদেশে দুই রকম হতে পারে না। কেউ পুঁজিবাজারে থাকবে, আবার কেউ বাইরে থাকবে- এটা হতে পারে না। আগামী অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরের মধ্যেই বাইরে থাকা ৩১ কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। অন্যথায় চার ধাপে এদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সব ধরনের ছোট-বড় ভবন যেমন-অফিস-বাসা এগুলো বিমার আওতায় আসতে হবে। দেশের প্রতিটি নাগরিককে বিমার আওতায় আসতে হবে। কারণ উন্নত দেশের মানুষসহ সামান্য পশুদের বিমা করা হয়। তাই আমাদেরও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে এসব উদ্যোগ নিতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় বিমা খাতের প্রধান প্রধান সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। সমস্যাগুলো হচ্ছে- বিমা পণ্যের স্বল্পতা, বিমা লিটারেসির ব্যবস্থা না থাকা, বিমা দাবি যথাসময়ে নিষ্পত্তি না করা, দেশে সাধারণ বিমা করপোরেশন ব্যতীত পুনঃবিমা প্রতিষ্ঠান না থাকা, বিমা কোম্পানিগুলোর করপোরেট গভর্ন্যান্সের অভাব, জীবন বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর একচ্যুয়ারির অভাব এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে অপর্যাপ্ততা।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, আইডিআরএ-এর চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী এবং বাংলাদেশ বিমা সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনসহ বিভিন্ন বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যান, এমডি ও খাত সংশ্লিষ্টরা।