শান্তিতে নোবেল পেলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক /লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

শান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অর্জনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বিশেষত প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সাথে সীমান্ত সংঘাত নিরসনের উদ্যোগের জন্য ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ (৪৩) কে এ বছরের নোবেল শান্তি পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে।

কে এই আবি আহমেদ ?
আবি আহমেদ আফ্রিকার সবচেয়ে কম বয়সী সরকার প্রধান। ২০১৮ এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে আবি ইথিওপিয়ায় ব্যাপক উদারনীতি সংস্কারের প্রচলন করেছিলেন
তিনি হাজার হাজার বিরোধী কর্মীকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন এবং নির্বাসিত অসন্তুষ্টদের দেশে ফিরতে দিয়েছিলেন। সবচেয়ে বড় কথা, তিনি দুই দশকের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে ইথিওপিয়ার প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সাথে একটি শান্তি চুক্তি সই করেছেন।

তার নোবেল জয়ের কারণ?
নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সাথে সীমান্ত সংঘাত নিরসনের সিদ্ধান্তমূলক উদ্যোগের জন্য আবি আহমেদকে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে।

“পুরষ্কারটি ইথিওপিয়া এবং পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব আফ্রিকান অঞ্চলে শান্তি ও পুনর্মিলনের জন্য কাজ করা সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই করা হয়েছে,” বলে নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

নোবেল কমিটির মতে “একা এক পক্ষের ক্রিয়াকলাপ থেকে শান্তি উত্থাপিত হয় না। প্রধানমন্ত্রী অবি যখন হাত বাড়িয়েছিলেন, তখন রাষ্ট্রপতি আফওয়ারকি তা আঁকড়ে ধরেছিলেন এবং দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়াটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে সহায়তা করতে সহায়তা করেছিলেন। নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি আশা করেছে যে এই শান্তি চুক্তি ইথিওপিয়া এবং ইরিত্রিয়ার সমগ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করবে। ”

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের নোবেল জয়ে ইথিওপিয়া গর্বিত বলে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে এক বিবৃতি প্রদান করেছে ।

বিবৃতিতে বলা হয় “এই বিজয় এবং স্বীকৃতি সমস্ত ইথিওপীয়দের সম্মিলিত জয়। এ অর্জন ইথিওপিয়ার আশার নতুন দিগন্ত, সকলের জন্য একটি সমৃদ্ধ জাতি হিসাবে গড়ে তোলার বিষয়ে আমাদের সংকল্পকে আরো দৃঢ় করার আহ্বান।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *