অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়
আন্তর্জাতিক ডেস্ক /লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
অর্থনীতির উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখার স্বরূপ অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া আরো দুইজন অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন। তারা হলো অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী ফসারি নাগরিক এসথার ডাফলো ও মার্কিন নাগরিক মিশেল ক্রেমার।
সম্মানী হিসেবে তাদের ১১ লাখ মার্কিন ডলারও দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ সময় সোমবার (১৪) বিকেল সাড়ে ৩টায় রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এ পুরস্কার ঘোষণা করে।
এদিন নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘তাদের গবেষণা সারা বিশ্বকে দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়ার নতুন হাতিয়ারের সন্ধান দিয়েছে। মাত্র দুই দশকে তাদের গবেষণা পদ্ধতি উন্নয়ন অর্থনীতির রূপরেখা বদলে দিয়েছে। এখন অর্থনীতির গবেষণায় এটি অন্যতম পাথেয় মডেল।’’
এই মুহূর্তে ফোর্ড অধ্যাপক ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক হিসেবে এমআইটি-তে কর্মরত রয়েছেন অভিজিৎ বিনায়ক। ২০১৩ সালে অভিজিৎ এবং এস্থার ডাফলো যুগ্মভাবে ‘আব্দুল লতিফ জামিল পভার্টি অ্যাকশান ল্যাব’ গড়ে তুলেছিলেন বিশ্বের দারিদ্র নিয়ে গবেষণার জন্য। তাঁদের পরীক্ষামূলক গবেষণাকেই সম্মান জানাচ্ছে নোবেল কমিটি।
১৯৬১ সালে মুম্বাইয়ে জন্ম অভিজিৎ বিনায়কের। তিনি প্রাথমিক পড়াশোনা সারেন সাউথ পয়েন্ট স্কুলে। ১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। সেই বছরই স্নাতকোত্তর পড়তে চলে যান জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘ইনফরমেশন ইকোনোমিক্স।’
অভিজিৎ বিনায়ক রাষ্ট্রপুঞ্জেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৫ পরবর্তী ডেভলপমেন্ট অ্যাজেন্ডা কর্মসূচিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের সচিবের বিশিষ্ট প্রতিনিধি প্যনেলে ছিলেন তিনি।
অর্থনীতি বিষয়ে বিনায়কের লেখা চারটি বই বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। তার মধ্যে ‘পুওর ইকোনোমিক্স’ বইটি গোল্ডম্যান স্যাকস বিজনেস বুক সম্মানে ভূষিত হয়। অন্য নোবেল প্রাপক এস্থারের জন্ম ১৯৭২ সালে প্যারিসে।
অভিজিতের স্ত্রী এস্থার ডাফলোর গবেষণাও এমআইটি থেকে। এস্থারের গবেষণার বিষয় ছিল, ‘দারিদ্র দূরীকরণে সামাজিক নীতি নির্ধারণ’। দীর্ঘদিন সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন অভিজিৎ-এস্থার।