আমদানি নিষিদ্ধ গাড়ি রেজিস্ট্রেশন করার অভিযোগ মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোর্টার/লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে আমদানি নিষিদ্ধ গাড়ি রেজিস্ট্রেশন করার অভিযোগে বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এর পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার মামলাটি করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মুসা বিন শমসের ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন বিআরটিএ ভোলা জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক আইয়ুব আনছারী (বর্তমানে ঝালকাঠিতে কর্মরত), গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অটো ডিফাইন ও ফিয়াজ এন্টারপ্রাইজের মালিক ওয়াহিদুর রহমান, মুসা বিন শমসেরের শ্যালক ফারুক-উজ-জামান এবং ‘কারনেট ডি প্যাসেজ’ সুবিধায় গাড়ি আনা ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী ফরিদ নাবির।

আন্তর্জাতিক একটি সনদ অনুযায়ী যে সুবিধায় পর্যটকরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে শুল্ক না দিয়েই গাড়ি নিয়ে ঢুকতে পারেন, তাকে ‘কারনেট ডি প্যাসেজ’ বলা হয়। নির্দিষ্ট একটি সময়ের (সাধারণত কয়েক মাস) জন্য এই সুবিধা পান পর্যটকরা।

এই গাড়ি বিক্রি কিংবা হস্তান্তর করা যায় না। ‘কারনেট ডি প্যাসেজ’ সুবিধায় আনা একটি রেঞ্জ রোভার জিপ গাড়ি ২০১৭ সালে ঢাকায় মুসা বিন শমসেরের ছেলের শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। ওই গাড়িটি মুসার শ্যালক ফারুক উজ-জামানের নামে ভোলায় নিবন্ধিত।

গাড়িটি উদ্ধারের পর শুল্ক গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, ভোলা বিআরটিএর কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া কাগজ দিয়ে ওই গাড়ি নিবন্ধন এবং বেনামে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

গাড়িটি জব্দের পর মুসাকে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কার্যালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।

শুল্ক গোয়েন্দারা বলেছিলেন, মুসা বিন শমসের ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি প্রদর্শন করে গাড়িটি বেনামে রেজিস্ট্রেশন করেন। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওই গাড়িতে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শুল্ক প্রযোজ্য। ওই তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মুসার বিরুদ্ধে মামলা করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সুপারিশ করেছিল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। দুই বছর পর সেই মামলা করল দুদক।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *