ঢাকা-নিউইয়র্ক সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ রাষ্ট্রদূত মিলারের

কুটনৈতিক প্রতিবেদক/লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরো বেশি ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি করতে আবারো জাতীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-নিউইয়র্ক সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।

শুক্রবার রাতে ঢাকার আমেরিকান ক্লাবে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পাঁচজন স্টেট সিনেটরের সম্মানে আয়োজিত এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, আবারো ঢাকা-নিউইয়র্ক সরাসরি ফ্লাইট চালু করতে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটটি চালু ছিল।

বাংলাদেশ বিমান এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতো। কিন্তু বর্তমানে বিমান অথবা বাংলাদেশের অন্য কোন এয়ারলাইন্সের যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন নেই। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মর্যাদা হ্রাস করে ক্যাটাগরি-২ করেছে। যদিও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের এফএএ’র শর্ত পূরণে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের অডিট দলকে পুনরায় ক্যাটাগরি-১ প্রদানের জন্য বাংলাদেশে এসে সরেজমিনে সব কিছু দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

রাষ্ট্রদূত মিলার দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে আরো বেশি শিক্ষা ও সংস্কৃতিক বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আমেরিকাস) ফেরদৌসী শাহরিয়ার, সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ই এম চৌধুরী শামিম ও সিইও দিলারা আফরোজ খান রূপা।

বিমানের ঢাকা-নিউইয়র্ক সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ রাষ্ট্রদূত মিলারের

নিউইয়র্ক স্টেটের পাঁচ সিনেটর সপ্তাহব্যাপী এই সফরে সরেজমিনে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছেন। তারা বিভিন্ন ব্যাপারে নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রতি জোরালো সমর্থন ও তাদের সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। সিনেটর লুইস সেপুলভেডার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- লিরয় কোমরি, জেমস স্কোউফিস, কেভিন এস পার্কার ও জন সি লিউ। এছাড়াও প্রতিনিধি দলে তিন জন কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। তারা সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশন এই অভ্যর্থনার আয়োজন করে।

সিনেটররা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, এই সফর তাদের চোখ খুলে দিয়েছে। এদেশে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসায় ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদশের ভূয়সী প্রশংসা করেন তারা।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *