নতুন আইন কার্যকর হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে: ডিএমপি কমিশনার

স্টাফ রিপোর্টার/ লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

নতুন সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ কার্যকর শুরু হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।

তিনি আজ সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮এর প্রয়োগ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম. কৃষ্ণপদ রায়, আব্দুল বাতেন ও মো. মফিজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, নতুন এই আইনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য সাজার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। ফলে সবার মধ্যে আইন মানার প্রবণতা বাড়বে। উন্নত বিশ্বের মতো আইন ভঙ্গের জন্য পয়েন্ট কাটার সিস্টেম করা হয়েছে। এতে ট্রাফিক ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। এ আইনের সরাসরি প্রয়োগ আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, নতুন আইন বাস্তবায়ন নিয়ে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। সবশেষ গত ১ নভেম্বর গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে আইন কার্যকর করা হয়েছে। এর ফলে পুরনো আইনের ধারা পরিবর্তন হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, নতুন ধারা সম্পর্কে ডিএমপির সার্জেন্ট-টিআইসহ ৮শ’কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জনসচেতনার জন্য আইন সম্পর্কে নতুন একটি বই বাজারে দেওয়া হয়েছে। সব কর্মকর্তাকে এক মাসের মধ্যে নতুন আইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই বইয়ের ওপর পরীক্ষা নেওয়া হবে। আইনের কোনো ধারায় যদি কাউকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে সে বিষয়ে শুনানির ব্যবস্থা রয়েছে।

পুলিশ কমিশনার বলেন, আইনটি প্রয়োগের আগে যানবাহন ব্যবহারকারীদের সচেতন করা হয়েছে। বাস টার্মিনাল ও গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনে মাইক দিয়ে আইনের বিষয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। শ্রমিকদের জড়ো করে আইন সম্পর্কে ধারণা দেয়া হচ্ছে। জাতীয় পত্র-পত্রিকায়ও নতুন আইনের ধারা নিয়ে ফিচার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগে ডিএমপিতে পস মেশিনের (পয়েন্ট অব সেল) মাধ্যমে মামলা দেয়া হতো, তবে সফটওয়্যার আপডেটের কারণে মেশিনে মামলা দেয়া আপাতত বন্ধ আছে। আগের নিয়মে কাগজের কেস স্লিপ বই প্রিন্ট করা হয়েছে, এই বই দিয়ে আপাতত মামলা দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন আইন যদি কেউ প্রথমবার ভঙ্গ করে তাহলে তাকে সামান্য পরিমাণ জরিমানা করা হবে। একই সঙ্গে তাকে একটি লিফলেট দেওয়া হবে যে পরবর্তীতে একই অপরাধ করলে তাকে আইন অনুযায়ী পুরো জরিমানা বা শাস্তি ভোগ করতে হবে। প্রথম এক সপ্তাহ নতুন আইনে কোনো মামলা হবে না। এরপর থেকে রশিদের মাধ্যমে মামলা নেওয়া শুরু হবে। পস মেশিনের সার্ভার আপডেট করার পরে এ পদ্ধতিতে মামলা নেওয়া শুরু হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো সার্জেন্ট বা ট্রাফিক কর্মকর্তা যদি মামলা না দিয়ে অন্য কোনোভাবে সুবিধা নিতে চান। কেউ যদি সেই অভিযোগ করেন এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ডিএমপি থেকে ট্রাফিক সার্জেন্টদের ক্যামেরা দেওয়া হবে। এমন ঘটনার যদি অভিযোগ থাকে আর যদি সার্জেন্টের ক্যামেরা বন্ধ থাকে ধরে নেওয়া হবে সে অবৈধ কাজের জন্য বন্ধ রেখেছিল। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *