গণতান্ত্রিক সমাজের উন্নয়নে মুক্ত সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকার উপর জোর
সূর্য /লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
নয়াদিল্লী, প্রবীণ সাংবাদিক এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রেস কাউন্সিলের সদস্যরা আজ একটি গণতান্ত্রিক সমাজের উন্নয়নে একটি মুক্ত, বহুমাত্রিক ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার ওপর জোর দিয়েছেন।
আজ ‘রিপোর্টিং-ইন্টারপ্রিটেশন: একটি জার্নি’ শীর্ষক গোলটেবিল সম্মেলনে তারা বহুমাত্রিক সমাজের পক্ষে মত না দিয়ে বিষয়গত সংবাদ প্রতিবেদনের কথা তুলে ধরেন।
প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (পিসিআই) চেয়ারম্যান বিচারপতি চন্দ্রমৌলি কুমার প্রসাদের সভাপতিত্বে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর প্রতিনিধি নেতারা এবং স্বাগতিক ভারত মুক্তসংবাদ মাধ্যমে তাদের মতামত ও ভাবনা অধিবেশনে প্রকাশ করেন।
আগামীকাল পালিত হতে যাওয়া জাতীয় প্রেস দিবস, ২০১৯ উপলক্ষে একটি মুক্ত, বহুমাত্রিক ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (পিসিআই) এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার প্রেস কাউন্সিলের প্রতিনিধিরাও প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (পিসিআই) এর আমন্ত্রণে সম্মেলনে অংশ নেয়।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চার সদস্যের প্রতিনিধি দলটি ইংরেজি দৈনিক অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নেতৃত্বে এই সম্মেলনে যোগ দেয়।
অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোয় টক শোতে অংশগ্রহণকারীরা এবং সংবাদ প্রকাশের সময় সংবাদমাধ্যম কীভাবে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে চলেছে সে সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম কেবল স্বাধীনই নয়, অত্যন্ত প্রাণবন্তও রয়েছে। তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সাথে গণতান্ত্রিক রাজনীতি সুদৃঢ় করার জন্য গণমাধ্যমের এখন আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে গণমাধ্যমের সহযোগিতা এবং বোঝাপড়ার জন্য প্রেস কাউন্সিলগুলোর দক্ষিণ এশীয় ফোরাম গঠনের প্রস্তাবও উত্থাপন করেন।
এসময় স্বাগতিক দেশের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকগণ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনিরুজ্জামান, বিজেইউজে যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মাজিদ এবং বিপিসি’র সদস্য মো. শাহ আলম।