চট্টগ্রামে বন্দরে এসেছে প্রায় ২০০ টন পেঁয়াজ
গোঁফরান চৌধুরী /লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে পেঁয়াজ, সেই পেঁয়াজ বহনে ব্যস্ত শ্রমিকরা। ছবি : আমাদের সময়
পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতার মধ্যে আজ শনিবার চট্টগ্রামে ১৯৮ টন পেঁয়াজ এসেছে। এর মধ্যে চীন ও মিশর থেকে আনা ১১৪ টন পেঁয়াজ বন্দরে খালাস হয়েছে এবং মিয়ানমার থেকে আসা ৮৪ টন পেঁয়াজ বন্দরনগরীর পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে এসেছে।
চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকার কারণে আধ পচা পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে। এদিন খাতুনগঞ্জ ও চাক্তায়ের পাইকারি বাজারের বিভিন্ন এলাকায় পচা পেঁয়াজের কিছু বস্তা পড়ে থাকতেও দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান বুলবুল জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে আজ মিশর থেকে আনা ৫৮ টন এবং চীন থেকে আনা ৫৬ টন পেঁয়াজ খালাস হয়েছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে শনিবার পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ১৪১ টন পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছাড় হয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে পেঁয়াজ আনতে আমদানি অনুমতিপত্র (আইপি) নেওয়া হয়েছে ৭১ হাজার ৮০২ টনের। এরমধ্যে গত বুধবার পর্যন্ত ৬৬ হাজার ১৬২ টনের আইপি নেওয়া হয়েছিল। এরপর গত কয়েক দিনে আরও পাঁচ হাজার ৬৪০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র খোলা হয়েছে বলে জানান আসাদুজ্জামান বুলবুল।
এর আগে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আসে পাঁচ হাজার ৯৪৭ টন। শুক্রবার আরও ৮০ টন পেঁয়াজ ছাড় হয়।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট কাঁচামাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিচ বলেন, ‘আজ মিয়ানমার থেকে আমদানি করা ছয় ট্রাক পেঁয়াজ (৮৪ টন) খাতুনগঞ্জে এসেছে। তবে পাইকাররা বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে ভয় পাচ্ছে। মিয়ানমার থেকে আরও কিছু পেঁয়াজ কাল-পরশু আসতে পারে বলে শুনেছি। বন্দর থেকে ছাড় হওয়া পেঁয়াজ গত দুই দিনে খাতুনগঞ্জে আসেনি। সেগুলো দেশের অন্য জেলার পাইকাররা কিনে নিয়ে গেছে।’
এদিকে আজ দুপুরে খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট, চাঁন মিয়া বাজার, মধ্যম চাক্তাইসহ কয়েকটি স্থানে আড়তের বাইরে কয়েক বস্তা করে পচা পেঁয়াজ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে এসব এলাকা থেকে আড়তদারদের ফেলে দেওয়া প্রায় ১৫ টন পচা পেঁয়াজ তুলে নিয়ে আরেফিন নগরের ভাগাড়ে ফেলে দেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।