বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া বাণিজ্য সম্মেলন উদ্বোধন করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
ভূইয়া আসাদুজ্জামান /লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
সিডনিতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া বাণিজ্য সম্মেলন উদ্বোধন করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ সিডনীস্থ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অষ্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের সম্ভাবনা ও বাধাসমূহ চিহ্নিত করণের লক্ষ্যে প্রথম এই বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছে বলে ঢাকায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশ হাইকমিশন ও অষ্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (এবিবিসি)-এর যৌথ উদ্যোগে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এতে দুই দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, শিল্পপতি, সরকারি কর্মকর্তা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ দু’শতাধিক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেন, বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও গত এক দশকে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশের বেশী হয়েছে। বস্ত্র শিল্প, কৃষি পণ্য ছাড়াও শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন , বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদসহ আর্থিক সেবা খাতে অষ্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে।
সম্মেলনে অষ্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকের উত্থানের উপর আলোকপাত করে আর্থিক সাহায্যের বাইরে বাণিজ্যিক লেনদেন, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব এবং দ্বি-পাক্ষিক সেক্টরাল সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর জোড় দেন।
সম্মেলনের প্রথম দিনে টেক্সাটাইল, কৃষি পণ্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানী তিনটি থিমেটিক এবং ফার্মাসিউটিক্যাল এবং চামড়াজাত পণ্যের উপর পৃথক সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
টেক্সাটাইল সেশনে এলডিসি হতে উত্তরণ পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশ যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং বাংলাদেশ নতুন টেকনোলজি, অটোমেশন, পণ্য বহুমুখীকরণের প্রতি গুরুত্বরোপের সুপারিশ করা হয়।
কৃষি বিষয়ক সেশনে নতুন কৃষি পণ্য চিহ্নিতকরণ, বাজারজাতকরণসহ যা দু’দেশকে লাভবান করবে,সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
আলোচকবৃন্দ কৃষি খামার ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য যৌথ উদ্যোগে কর্মসূচি গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে সুপারিশ করেন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেশনে আলোচকবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির কারণে উচ্চমান সম্পন্ন কয়লা এবং এলএনজি প্রয়োজন হবে যা অষ্ট্রেলিয়া সরবরাহ করতে পারবে।
আলোচনায় বাংলাদেশে খনিজ পদার্থ আহরণে অষ্ট্রেলিয়ার কারিগরি ও প্রযুক্তিকগত সহকযোগিতার বিষয়টিও উঠে আসে। ঔষধ শিল্প ও চামড়া শিল্প সেশনে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য কিভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়েও সম্মেলনে আলোচনা করা হয়।