সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়স হবে ৬০ বছর
ফারহানা হক /লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা নিয়ে আপিল বিভাগে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। ফলে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়স সরকার নির্ধারিত ৬০ বছরই থাকছে। সাত পৃষ্ঠার এ রায় সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে আজ রবিবার প্রকাশ করা হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়টি লিখেছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বেঞ্চের অপর সদস্যরা এতে একমত পোষণ করেছেন।
হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পর্যবেক্ষণে আপিল বিভাগ বলেছেন, হাইকোর্ট বিভাগ বয়স নির্ধারণে জাতীয় সংসদকে আইন প্রণয়ন বা সংশোধনের নির্দেশ দিতে পারে না। আইন প্রণয়নে আইনসভার (জাতীয় সংসদ) ক্ষমতাই সর্বোচ্চ তা সংবিধানে বলা হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে ৬০ বছর করে ২০১৩ সালে করা আইন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট রায় বাতিল করেন। ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে ৬০ বছর করে ২০১৩ সালে করা আইন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬১ বছর করা উচিত ছিল। কিন্তু সেটা না করা বৈষম্যমূলক হয়েছে। এ কারণে সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ৬১ বছর পর্যন্ত সব সুবিধা দেবে বলে মনে করি।
সরকার ২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আইন সংশোধন করে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে অবসরের বয়সসীমা একবছর বাড়িয়ে ৬০ বছর করে। এ অবস্থায় চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দুই মুক্তিযোদ্ধা গত বছর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
এ রিট আবেদনে রুল জারি করেন আদালত। এরপর রিট আবেদনকারীরা ২০১৩ সালের আইনের সংশোধনী বাতিল চেয়ে সম্পূরক আবেদন করেন। সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম মশির উদ্দিন ওয়ারেশী ও আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার তপন কুমার সাহা রিট আবেদনটি করেন।