হলি আর্টিজান মামলার রায় ঘিরে কড়া নিরাপত্তা
স্টাফ রিপোর্টার / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা মামলার রায় ঘোষণা হবে আজ বুধবার। আলোচিত মামলাটির রায় ঘিরে আদালতপাড়াসহ পুরো রাজধানীজুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি করছে।
বুধবার সকাল থেকে রাজধানীতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। পুরান ঢাকার আদালতপাড়ায় নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। সবাইকে চেক করে আদালত অঙ্গনে ঢোকানো হচ্ছে। র্যাব-পুলিশসহ বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে আদালত অঙ্গনে। এছাড়া সাদা পোশাকের পুলিশ ও গোয়েন্দাদের আনাগোনাও লক্ষ্য করা গেছে।
বুধবার দুপুর নাগাদ ঘোষণা হতে পারে আলোচিত এই হত্যা মামলার রায়। এই রায়কে ঘিরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগে থেকেই সতর্ক রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার আদালত পাড়া পরিদর্শন করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলম ও কৃষ্ণ পদ রায়। পরিদর্শন শেষে তারা আদালত পাড়ার বিশেষ নিরাপত্তায় লালবাগ ডিভিশন ও আদালতের ডিসি প্রসিকিউশনকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘রায়কে কেন্দ্র করে ওই রকম কোনো নিরাপত্তা জোরদারের কিছু নেই। তবে আমরা এলার্ট আছি। সাধারণত সব সময় আদালত এলাকায় আমাদের সদস্যরা থাকে। সেই তুলনায় আগের চেয়ে সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে আছে।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। অস্ত্রের মুখে বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে বাংলাদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যমে শাখার প্রধান লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘রায়কে ঘিরে কোনো ধনের অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে আমাদের সদস্যরা মাঠে আছে। বিশেষ করে আদালত চত্বর ছাড়াও নিয়মিত ডিউটি হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আমাদের সদস্যরা কাজ করছে।’
ঢাকা মহানগর আদালতের হাজতখানার ওসি মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিদের হাজাতখানা থেকে এজলাসে আনা নেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মীর সোহেল রানা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পর্যাপ্ত নির্যাপত্তা আয়োজন রয়েছে। তারপরও সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদেরকে দায়িত্ব পালনে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’