চাঞ্চল্যকর মামলা নিবিড় তদারকির নির্দেশ আইজিপির

স্টাফ রিপোর্টার / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, চাঞ্চল্যকর মামলাসমূহ নিবিড় তদারকির জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত মামলা মনিটর করতে হবে।

আজ রবিবার পুলিশ সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী পুুলিশ সদর দপ্তরে কোয়ার্টারলি কনফারেন্সে অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন আইজিপি। সভায় সকল রেঞ্জ ডিআইজি, মহানগর পুলিশের কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপাররা অংশ নেন।

আইজিপি বলেন, চাঞ্চল্যকর মামলাসমূহ নিবিড় তদারকির জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। থানাকে জনগণের আস্থায় আনার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। থানায় আসা জনগণের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে। তাদের সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশের কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। পুলিশ সম্পর্কে জনগণের মাঝে ইতিবাচক ধারণা তৈরিতে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।’

ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছি। মাদকের সাথে কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তিনি যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ প্রমাণিত হলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

বর্তমানে দেশে জঙ্গি তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটসহ অন্যান্য ইউনিটকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। জঙ্গিদের কার্যক্রম এবং তাদের অবস্থান সম্পর্কে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে।

সভায় পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) ওয়াই এম বেলালুর রহমান গত ৩ মাসের (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৯) সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। সভায় অপহরণ, খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদকদ্রব্য, চোরাচালান দ্রব্য, অস্ত্র ও বিষ্ফোরক উদ্ধার, সড়ক দুর্ঘটনা, গাড়ি চুরি, রাজনৈতিক সহিংসতা, অপমৃত্যু, পুলিশ আক্রান্ত মামলা, পরোয়ানা তামিলসহ দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।

সভায় এন্টিটেররিজম ইউনিটের নতুন ওয়েবসাইট ও এ্যাপস ইনফরম এটিইউয়ের উদ্বোধন এবং বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির জার্নালের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

সভায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা, রাজশাহীর প্রিন্সিপ্যাল মোহাম্মদ নাজিবুর রহমান, র‌্যাবের মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত আইজি (এএন্ডও) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, এন্টিটেররিজম ইউনিটের প্রধান মোহাম্মদ আবুল কাশেম, রেলওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজি মো. মহসিন হোসেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অতিরিক্ত আইজি আবদুস সালাম, ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, সিআইডির অতিরিক্ত আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, টিএন্ডআইএম’র অতিরিক্ত আইজি মো. ইকবাল বাহার, এপিবিএন’র অতিরিক্ত আইজি মোশারফ হোসেন, অতিরিক্ত আইজি (এফএন্ডডি) মো. শাহাব উদ্দীন কোরেশী, অতিরিক্ত আইজি (এইচআরএম) বিশ্বাস আফজাল হোসেন, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান এবং পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *