বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের সব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

 

স্টাফ রিপোর্টার / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

গাজীপুর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের সব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামী ১০ জানুয়ারি প্রথম দফায় শুরু হবে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় সমাবেশ তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা।
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমা সার্বিক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম অবহিতকরণ ও আইন-শৃংখলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন, বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরুব্বী প্রকৌশলী মেজবাহ উদ্দিন, শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলাম প্রমুখ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তুরাগ নদীর পূর্ব তীরে ২ বর্গ কিলোমিটার ছামিয়ানার নিচে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে প্রথম পর্বের ইজতেমা। আমরা সবাই সজাগ দৃষ্টি রাখবো যাতে ইজতেমা সুষ্ঠু সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়। এ উপলক্ষে ময়দানের আশপাশে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি জোরদার করা হবে। বিদেশী মুসল্লিদের ভিসার সমস্যা অতিদ্রুততার সঙ্গে সমাধান করা হবে।

তিনি বলেন, বিদেশী মেহমানসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তায় আইন-শৃংখলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

সভায় প্রশাসন, এলজিইডি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, রেল কর্তৃপক্ষ, সড়ক ও জনপথসহ সরকারের সকল বিভাগের পক্ষ থেকে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে জানানো হয়।

ইজতেমায় আইনশৃংখলা রক্ষার ব্যাপারে জিএমপি পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, দু’পর্বের ইজতেমা উপলক্ষে ৮ হাজার পুলিশ বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। ইজতেমা ময়দানের চার পাশে ১শ’ ৬০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের ব্যাপারে গাজীপুর সিভিল সার্জন এর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

এছাড়াও অ্যাজমা ইউনিট, বার্ন ইউনিট, হার্ট ইউনিট টঙ্গী হাসপাতালে চালু থাকবে। এছাড়াও ১৪টি এ্যাম্বুলেন্স ২৪ ঘন্টা মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকবে বলে সিভিল সার্জন কামরুজ্জামান জানান ।

মেয়র জাহাঙ্গীর আলম জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ময়দানের আশপাশে জীবাণু প্রতিরোধে পর্যাপ্ত বিলিচিং পাউডার দেয়া হয়েছে। ময়দানের আশপাশে ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয়পাশের অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ইজতেমা চলাকালীন সময় সিনেমাহলগুলো বন্ধ ও দেয়ালে সাটানো অশ্রীল পোস্টার অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ময়দানের মশক নিধনের জন্য ফগার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন ঔষধ ছিটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৩টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে প্রতিদিন সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করবে

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *