‘ডিজেল পাচার রোধে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে’
সিনিয়র রিপোর্টার / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত কৃষি সেচ মৌসুমে ডিজেলের চাহিদা বেশি থাকে। এই সময়ে সীমান্ত দিয়ে ডিজেল পাচারও হয়ে থাকে। জ্বালানী তেল পাচার রোধে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডসহ সরকারের অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এতথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত শুণ্যরেখা হতে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে বিজিবির নিয়মিত অভিযান ও টহল তৎপরতা এবং সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের বাইরেও প্রয়োজনে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
সীমান্ত রক্ষা তথা চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্তে ৬৯৭টি বিওপি নির্মাণ করা হয়েছে। বিওপিসমুহের মধ্যবর্তীস্থানে নজরদারি বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ পর্যন্ত মোট ১২৮টি বর্ডার সেন্ট্রি পোষ্ট (বিএসপি) তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও সেচ মৌসুমে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ডিজেল পাচার প্রতিরোধের জন্য স্থানীয় জনগণের মাঝে প্রয়োজনীয় জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিজিবি কর্তৃক প্রেষণা প্রদান করা হচ্ছে।
সম্প্রতি সমুদ্রপথে পাচারের সময় ৩ লাখ ৬১ হাজার ৯৬৫ লিটার ডিজেল আটক করেছে কোস্ট গার্ড। জ্বালানী তেল যাতে পাচার না হয় সেজন্য সীমান্তবর্তী ফিলিং স্টেশনগুলোতে জ্বালানী তেল বিক্রিতে নজরদারি বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) থেকে প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবছর সেচ মৌসুমে জ্বালানী তেল সরবরাহ নিশ্চিত ও পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়ে জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক আন্ত:মন্ত্রণালয়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর।
সরকারি দলের অপর সদস্য এবাদুল করিমের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে বদ্ধপরিকর।
দেশের সীমান্তবর্তী জেলা সমূহে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং মাদকের অনুপ্রবেশ রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বক্ষণিক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্নস্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অপরাধী শনাক্ত ও তাদের আইনের আওতায় আনার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।