প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই : রাষ্ট্রপতি

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেবল শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে না, তাদের চিন্তার প্রসারতা বাড়ায়। গবেষণার মাধ্যমে সৃষ্টি করে নতুন জ্ঞানের যা যুগের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। একবিংশ শতাব্দী তথ্য প্রযুক্তির যুগ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই। সময়ের সাথে যুগের চাহিদাকে ধারণ করে বর্তমানে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম বড় একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা। কারণ গুণগত শিক্ষা ছাড়া শিক্ষা মূল্যহীন। উচ্চশিক্ষা যাতে কোনোভাবেই সার্টিফিকেটসর্বস্ব না হয় তার সম্মিলিতভাবে নিশ্চিত করতে হবে। জ্ঞানের আদান-প্রদান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরো বলেন, পলিথিন এবং প্লাষ্টিক সামগ্রি ব্যাবহার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবেশ রক্ষার্থে এসব পণ্য বাজারজাত বন্ধ করা উচিৎ।
শিক্ষার্থীদের জনসচেতনতা সৃষ্টি ও বার্গার, কোল্ড ড্রিংকসহ সকল ফাষ্টফুড পরিহারপূর্বক স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বাচাঁতে শিক্ষার্থীদের সামাজিক আন্দোলন করার আহবান জানান তিনি।

বুধবার বিকেলে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, আপনারা উন্নত জাতির তৈরির মহান কারিগর। আপনাদের হতে হবে সত্যান্বেষী। দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে নৈতিকভাবে বলিষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী। দেশের কল্যানে আপনারা হবেন আলোর দিশারী জ্ঞানের ফেরিওয়ালা। শিক্ষার্থীরা আপনাদের আদর্শ অনুসরণ করবে যার প্রভাব পড়বে তার কর্মজীবনে। তাই আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে আপনারা জ্ঞান অর্জন ও বিতরণে নিবেদিত থাকবেন জাতি তা প্রত্যাশা করে।

সমাবর্তনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। এ সময় জেলার পাঁচ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সমাবর্তনকে নিয়ে বিবিএ অনুষদের সাবেক ছাত্র মোঃ রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও কৃষি অনুষদের সাবেক ছাত্রী রোমানা আফরোজ বলেন, এই অপরুপ ক্যাম্পাসে রেখে যাওয়া সব স্মৃতি এক নিমিষেই যেন চোখের সামনে ভেসে আসছে। ক্লাস, পরীক্ষা, এসাইনম্যান্ট, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা এ সব যেন এখন শুধুই মায়া। আর আজকে সবার গায়ে কালো গাউন, হ্যাট, ছবি তোলার এ উৎসব যেন আমাদের নতুন দিগন্তে আহবান করছে।’

এবারের সমাবর্তনে প্রায় ৩ হাজার গ্র্যাজুয়েট অংশ নিয়েছেন। যার মধ্যে স্নাতক এক হাজার নয় শত আটষট্টি জন, স্নাতকোত্তর নয় শত একান্ন জন ও পিএইচডি নয় জন।

সমাবর্তনে মোট ৬৩ জনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়েছে। সমাবর্তন শেষে সন্ধ্যায় উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন ২০০৮ সালের ক্লোজআপ ওয়ান তারকা “সানিয়া সুলতানা লিজা” ও ব্যান্ড দল “জলের গান”।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *