মেডিকেল কলেজে ৫০ শয্যা এবং সবসদর হাসপাতালে ১০ শয্যার কিডনী ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে- স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ

সিনিয়র রিপোর্টার / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

দেশের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যা ও জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘মন্ত্রণালয়ের প্রজেক্ট রিভিউ সংক্রান্ত সভায়’ তিনি এ কথা জানান।

সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই প্রকল্পটির কাজ ২০২২ সালের মধ্যেই সম্পন্ন করবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কিডনি রোগের চিকিৎসা করা নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের সমস্যা অনেকাংশেই দূর হবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে এক কোটি ৯০ লাখের মতো মানুষ কিডনি রোগে ভুগছে। প্রতিবছর ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ হারে মানুষ ক্রনিক কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের হাসপাতালগুলোতে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপিত হলে একদিকে ঢাকায় চিকিৎসার চাপ কমে যাবে, অন্যদিকে দেশের সাধারণ মানুষের কিডনি রোগ চিকিৎসায় বড় ধরনের অগ্রগতি আসবে।

মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে বর্তমানে প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ২০ ভাগ রোগীর কিডনি ডায়ালাইসিস করা সম্ভব হচ্ছে। কিডনি বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় ৪০ হাজার রোগীর বর্তমানে সাপ্তাহিক ডায়ালাইসিস প্রয়োজন। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি মিলে মাত্র ছয় হাজার মানুষের ডায়ালাইসিস করা সম্ভব হচ্ছে।

সভায় জানানো হয়, গৃহীত প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের মেডিক্যাল কলেজ পর্যায়ে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ২২ ডায়ালাইসিস ইউনিটে ১১০০ বেডের মাধ্যমে এবং জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যা বিশিষ্ট ৪৪টি ডায়ালাইসিস ইউনিটের মাধ্যমে ৪৪০ বেডের সর্বমোট ১৫৪০ বেডের ডায়ালাইসিস সেবা সরকারি পর্যায়ে সারাদেশে সম্প্রসারিত হবে। এই প্রকল্পের ১৫৪০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিটের মাধ্যমে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪৩ হাজার ১২০ বার ডায়ালাইসিস করা সম্ভব হবে। এছাড়া প্রতি বেডে দৈনিক তিন থেকে চার বার ডায়ালাইসিস করা সম্ভব হবে।

সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার, হাসপাতাল অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনাসহ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিভিন্ন হাসপাতাল ও প্রকল্পের পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *