ফিটনেসবিহীন কোনো গাড়ি রাস্তায় চলতে পারবে না: হাইকোর্ট

হাইকোর্ট রিপোর্টার / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

সারাদেশে ফিটনেস নবায়ন না করা কোন গাড়ি রাস্তায় চলতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

এ প্রতিবেদন দেয়ার পর আদালতে বিআরটিএ-এর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রাফিউল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী এটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

আইনজীবী রাফিউল ইসলাম বলেন, আদালত বলেছেন-ফিটনেস নবায়ন না করা কোনো গাড়ি রাস্তায় চলতে পারবে না। এখনো ফিটনেস খেলাপি গাড়ী কিভাবে চলছে তা বিআরটিএ ও পুলিশ কর্তৃপক্ষকে আগামী রোববারের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।

তিনি জানান, গত বছরের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ গাড়ী ফিটনেস খেলাপি ছিলো। ওইদিন আদালত আদেশ দিয়েছেন-ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়িকে পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি না দিতে। এ আদেশ অনুসারে বিআরটিএ ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রত্যেক পেট্রোল পাম্পকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা এ বিষয়ে ব্যানার লাগিয়েছে এবং ফিটনেস খেলাপি গাড়িকে জ্বালানি দিচ্ছে না। এসবের সচিত্র প্রতিবেদন আদালতে দেখিয়েছি।

প্রতিবেদনে গত ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ গাড়ির মধ্যে সারা দেশে এক লাখ ৬৫ হাজার ৭৬৪ গাড়ী তাদের ফিটনেস নবায়ন করেছে বলে জানানো হয়।

এর আগে গত ২৩ জুলাই এক আদেশে ঢাকাসহ সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়িগুলো দু’মাসের মধ্যে ফিটনেস নবায়ন করতেও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গত ১ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো।

এর আগে গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি সংক্রান্ত একটি ইংরেজি দৈনিকে গত ২৩ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন এডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব।

এরপর ওইদিন আদালত রুলসহ আদেশ দেন। ‘রুলে ফিটনেসবিহীন গাড়ি, রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর বিষয়ে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, পাশাপাশি সংবিধানের ৩২ ধারার আলোকে জীবন বাঁচার অধিকার বাস্তবায়নে কেন মোটর ভেহিক্যাল আইন ১৯৮৩ এর বিধানগুলো সঠিকভাবে পালনের জন্য কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না- তা সংশ্লিষ্টদের কাছে জানতে চেয়েছেন আদালত।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *