করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে অস্পষ্টতা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, দৈনিক সচিত্র মৈত্রী :
ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০, চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের সামুদ্রিক খাদ্যের বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে এরই মধ্যে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশটির বাণিজ্য ও অর্থনীতি। এ পরিস্থিতিতে বর্ধিত চান্দ্র নববর্ষের ছুটি শেষে কাজে ফিরতে মরিয়া হয়ে আছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশের কোম্পানিগুলো। একই সঙ্গে ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে ক্ষতির বিষয়ে নিজেদের পূর্বাভাস খতিয়ে দেখছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষক থেকে ব্যাংকাররা। খবর: রয়টার্স।
অধিকাংশই মনে করছেন, সংক্রমণের ফলে সংক্ষিপ্ত সময়েই চীনের অর্থনীতিতে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, যা প্রাথমিক ধারণার চেয়ে অনেক বেশি। এ সংকটের প্রভাব অনুভূত হবে বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও। তবে নভেল করোনাভাইরাসে প্রভাব কতটা বিস্তৃতভাবে পড়তে পারে, সে বিষয়ে কারোরই স্পষ্ট ধারণা নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও অর্থনীতিবিদরা মতামত প্রকাশ করছেন কিছু অস্পষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে। তাদের কাছে সম্ভাব্য প্রভাব নির্ধারণের জন্য কোনো সঠিক উপাত্ত নেই।
মঙ্গলবার পিটারসেন ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকসের সিনিয়র ফেলো নিকোলাস আর লার্ডি বলেন, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের জিডিপি ৪ শতাংশের নিচে নেমে আসবে। অথচ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে দেশটির সরকার বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল ৬ শতাংশ। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধিরও উন্নতি হবে।
এদিকে চীনের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে জানিয়েছেন এসঅ্যান্ডপির বিশ্লেষকরা। নিকোলাস আর লার্ডি আরো বলেছেন, এসব পূর্বাভাসের কোনোটিই নির্ভুল না। সবাই মূলত আপাত অনুমানের ওপর নির্ভর করে কথা বলছেন।
অনেক অর্থনীতিবিদ চলমান নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সঙ্গে ২০০৩ সালের ছড়িয়ে পড়া সার্স ভাইরাসের প্রভাবের সাযুজ্য খুঁজছেন। কিন্তু ওই সময় বিশ্ব অর্থনীতিতে চীনের জিডিপির অবদান ছিল ৪ শতাংশ।