ফোন কলেই পৌঁছে গেলো বাজার; খুশি বান্দরবানবাসী

ওমর ফারুক, নিজস্ব প্রতিবেদক, দৈনিক সচিত্র মৈত্রী

বান্দরবান: এসএম আলাউদ্দিন আল আজাদ আলিফ। চাকরী করেন ঢাকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। কাকতালীয় ভাবে করোনার এই মহাসংকটের আগে ২২মার্চ ছুটি কাটাতে আসেন নিজ শহর বান্দরবানে। দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকলে শুরু হয় জেলা উপজেলা শহরগুলোর লকডাউন। এরই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে লকডাউন হয়েছে জেলার তিন উপজেলা আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি। জেলায় করোনা সংক্রমণ রোধে ডোর টু ডোর ফ্রি ডেলিভারি সার্ভিস চালু করেছে বান্দরবান জেলা পুলিশ। এ সেবা পেতে রবিবার দুপুর ১২টায় তিনি ফোন করেন বান্দরবান সদর থানার হটলাইন নাম্বারে।

হটলাইনে স্বয়ং অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম ফোনে বিনয়ী কন্ঠে বলেন, আমি অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলছিলাম। বলেন আমরা আপনার জন্য কি করতে পারি? আলাউদ্দিন তার নিত্য প্রয়োজনীয় সকল আইটেম ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে হটলাইন নাম্বারে পাঠালেন। কিছুক্ষণের মধ্যে শহরের এলজিইডি সংলগ্ন আলিফের বাসায় পন্য নিয়ে হাজির সদর থানার উপপরিদর্শক মাজহার।

সেবা পেয়ে খুশি আলিফ। তিনি বলেন, পরিবারের নিরাপত্তায় পাহাড়ে এসে অলস সময় কাটাচ্ছি। মা বললেন, বাসায়তো বাজার দরকার। বাবা বললেন, তার লোক নিয়ে আসবে। বান্দরবান পুলিশ কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে বাসায় থাকতে উৎসাহিত করতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য এবং ঔষধ বাসায় পৌঁছে দেয়ার সেবা শুরু করেছে। তাই মাকে বললাম, এবারের বাজার পুলিশকে ফোন দিলেই বাসায় পৌঁছায় দিবে। হটলাইনে ফোন দিলাম। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনয়ের সাথে কথা বললেন। লিস্ট পাঠাতে বললেন। তার টিম ডেলিভারি করবে। ২০ মিনিটের মাথায় বাসার নিচে পুলিশের গাড়ি। উপ-পরিদর্শক মাজহার ভাই ২৮০টাকার বাজার বুঝিয়ে দিলেন। ১হাজার টাকার নোট দিলেও ভাংতি দিতেও আপত্তি করলেন না। এ জরুরী মুহূর্তে এমন সেবার জন্য আলিফ বান্দরবান জেলা পুলিশকে স্যালুট জানান।

ডোর টু ডোর সার্ভিস প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার জেরিন আখতার বলেন, আমি প্রত্যাশা করি আল্লাহর রহমতে আমার এলাকায় যেন কেউ করোনা সংক্রামিত না হয়। ডোর টু ডোর সেবা তারই জন্য। আপনারা সেনা নিন, ভাল থাকুন। তবে নিত্য পণ্য ব্যতীত অন্য কোন পন্যের অর্ডার না দেয়ার জন্য বান্দরবান বাসির প্রতি অনুরোধ করছি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *