সাতকানিয়া উপজেলা লকডাউন
আসিফ ইকবাল, নিজস্ব প্রতিবেদক, দৈনিক সচিত্র মৈত্রী
চট্টগ্রাম : বন্দর নগর চট্টগ্রামে করোনার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমন স্থান হিসেবে চিহ্নিত সাতকানিয়া উপজেলাকে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ১৫ এপ্রিল বুধবারের মধ্যে পুরো সাতকানিয়াকে লকডাউন করার নির্দেশ দেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন ।
তিনি মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) রাতে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এ নির্দেশ প্রদান করেন।
অপরদিকে চট্টগ্রাম মহানগরের করোনা ক্লাস্টার খ্যাত পাহাড়তলী এলাকাটি কিভাবে লকডাউন করা যায় এ বিষয়ে চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিসেস (বিআইটিআইডি)-এ নতুন ১১৮ নমুনা পরীক্ষায় আরও ১২ জন করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। এদের মধ্যে ১১ জনই চট্টগ্রামের।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার যে ১১৮ টি নমুনা পরীক্ষা হয় তাতে আরও ১২ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে একজন নোয়াখালীর হলেও বাকীরা চট্টগ্রামের। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সাতকানিয়ার ঢেমশার ইছামতি গ্রামের ৫ জন, নগরের পাহাড়তলী থানা সাগরিকার ৪ জন, বোয়ালখালীতে ১ জন এবং কাতালগঞ্জ এলাকার ১ জন।
চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ছিল সাতকানিয়ায়। ১২ এপ্রিল সাতকানিয়া পৌর এলাকার এক শিক্ষার্থী ও এক যুবক করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। সোমবার (১৩ এপ্রিল) করোনায় আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে উপজেলার ইউএনও, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ৮ জনের। তবে এদের মধ্যে কারো করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। বর্তমানে উপজেলাটির বাসিন্দারা করোনা আতঙ্কে দিন পার করছেন।
ফলে মরণঘাতি করোনার বিস্তার রোধে বুধবার (১৫এপ্রিল) পুরো সাতকানিয়া উপজেলা লকডাউন করার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন ।
প্রসঙ্গত, নতুন শনাক্ত হওয়া এই ১১ জনসহ চট্টগ্রামে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ২৭ জনে।এদের মধ্যে মারা গেছে এক শিশুসহ তিনজন।
মৈত্রী/ এএ


 
							 
							