নাইক্ষ্যংছড়িতে সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের ব্যবস্থাপককে মিথ্যা দরখাস্ত দিয়ে হয়রানি

আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি বান্দরবান প্রতিনিধি :

বান্দরবান : নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক সুশীল চাকমার বিরুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর মিথ্যে দরখাস্ত দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সুশীল চাকমা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করে আসছেন বলে ও প্রকল্পের দায়িত্ব পালনকারী একাধিক কর্মীরা জানান। তারা আরো জানান সুশীল চাকমা একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ। নিজেও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন এবং পাড়া কর্মীদের ও নিয়মিত তদারকি করেন। যার ফলে কিছু অসাধু লোকজন ফায়দা হাসিল করতে না পেরে অন্যজনের নাম ব্যবহার করে উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর মিথ্যে দরখাস্ত দিয়ে হয়রানি করছে বলে আমরা মনে করি। মিথ্যা দরখাস্ত কারী নিজেদের নাম ব্যবহার না করে আজ আমাদের মান ক্ষুন্ন করেছে বলেও তারা জানান।

দরখাস্তকারীদের ভিত্তিতে সরেজমিনে ঘুরে পাড়া কেন্দ্রের আশ পাশের লোকজন ও স্বয়ং দরখাস্তকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের অভিযোগ আরো উল্টো। কেন তাদের নাম ব্যবহার ও ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে নিজেদের মান ক্ষুন্ন করা হয়েছে তা নিয়ে তারা চিন্তিত। পাশাপশি তারা ভুয়া দরখাস্ত কারীদের খোজ খবর রাখবেন বলে জানান।

সরেজমিনে উপজেলার ৫ ইউনিয়ের বিভিন্ন পাড়া কেন্দ্র ঘুরে দরখাস্তকারী দের সাথে কথা বলে জানা যায় দরখাস্তকারী শুধু মাত্র তাদের নাম ও স্বাক্ষর দিয়েছে। যার মধ্যে ঠিকানা পর্যন্ত নাই।

তবে দরখাস্তকারী নাম অনুযায়ী মেনসন ম্রু, সোনা মিয়া, বদি আলম, ননাই, আবদু শুকুর সহ অনেকের কাছে এই প্রতিবেদক জানতে চাইলে তারা বলেন দরখাস্ত টি ভুয়া। ভাল মানুষ কে হয়রানী করার নয়া কৌশল মাত্র। তবে তারা ভুয়া দরখাস্ত কারীদের খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট দাবী ও তুলেন।

এ বিষয়ে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলম জানান উপজেলা ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক সুশীল চাকমা যোগদানের পর থেকে বাইশারী ইউনিয়নে অবস্থিত পাড়া কেন্দ্র গুলো সুন্দর ভাবে পরিচালনা করে আসছে। অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় না নিয়ে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তিনি।

বান্দরবান জেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) আলুমং এর নিকট দরখাস্তের বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোন এ জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা ও বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে এবং গোপনে যাচাই-বাছাই করেছি। তবে তার কোন প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি পাওয়া যায়নি। আমার মনে হয় কিছু লোকজন তার নিকট নিজের স্বার্থ হাছিল করতে না পেরে এই ভুয়া দরখাস্ত দিয়ে হয়রানি করছে। এছাড়া আর কিছুই নয়।

এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুশীল চাকমা জানান, সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করে ও আজ আমি হয়রানির শিকার। তাছাড়া আমার জানামতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমি কোন কাজে ফাঁকি ও অনিয়ম দুর্নীতি থেকে সতর্কতা অবলম্বন করে কাজ করে যাচ্ছি। যাহা সরজমিনে তদন্ত করলে আসল রহস্য অবশ্যই বেরিয়ে আসবে ।

মৈত্রী/এফকেএ/এএ

শেয়ার করুন: