বইমেলায় ফাহমিদা ফারুকের রোমান্টিক থ্রিলার ‘বিবমিষা’
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২ উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে ফার্মাসিস্ট ফাহমিদা ফারুকের প্রথম রোমান্টিক থ্রিলার ‘বিবমিষা’। বইটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা ‘অবসর’, প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন রহমান আজাদ।
বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টাতেই দেখা মিলবে সুদর্শন এক যুবকের। অতি সুদর্শন সেই যুবকটির গায়ে লাল শার্ট। আর এই যুবকের প্রেমে পড়ে এক নারী সাংবাদিক ‘নিঝুম’! তবে অজানা-অচেনা যুবকটির হাতে থাকা রহস্যময় একটি ট্রলি ব্যাগ যেন নিঝুমের মনে প্রতিবারই সৃষ্টি করে প্রশ্নসূচক বাক্য। মনে প্রশ্ন জাগে- কী আছে অদ্ভুত সেই ব্যাগটিতে! এভাবেই এগিয়ে যায় কাহিনী…
তার পর শহরে শুরু হয় সিরিয়াল খুন। খুনের শিকার একটি লাশেরও নেই হৃৎপিণ্ড,যেন খুনির মূল অভিপ্রায় হৃৎপিণ্ড সংগ্রহ। সংগঠিত খুনের সঙ্গে মিল পাওয়া যায় দুই বছর আগের একটি লাশের ফরেনসিক রিপোর্ট। কেস তদন্তের সম্পূর্ণ দায়িত্ব পড়ে এসআই সমিরের ওপর। তদন্তে উঠে আসে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। বেড়িয়ে আসতে থাকে একের পর এক অবাক হওয়ার মতো হাড়হিম করা নানা তথ্য।
কে এই খুনি? খুনির ইচ্ছেটাই বা কী? এটা কি কোনো অরগান মাফিয়ার কর্মকাণ্ড নাকি কোনো সাইকো ঘাতকের গেইম প্ল্যান! পুরো কাহিনী জানতে হলে পড়তে হবে লেখক ফাহমিদা ফারুকের রোমান্টিক ক্রাইম থ্রিলার ‘বিবমিষা’!
ফাহমিদা ফারুক বলেন, বইটির প্রতিটি পাতায় থ্রিলারের স্বাদ পাবে পাঠক। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া লাশের রুদ্ধশ্বাস বর্ণনা কিংবা গুরুগম্ভীর প্লটে এসআই সমির আর কামালের মজার কথোপকথন। কিংবা নিঝুম আর রাসেলের না বলা ভালোবাসার ব্যথায় পাঠক ডুবে যাবে নি:সন্দেহে।
‘বিবমিষা’ বইটি পাওয়া যাবে বইমেলার অবসর প্রকাশনীর প্যাভিলিয়নে (প্যাভিলিয়ন নম্বর ৬)। বইটির মলাটমূল্য ৩২০ টাকা, বইমেলা থেকে কিনলে থাকছে ২৫% ছাড়। পাশাপাশি বিকাশ পেমেন্টে আছে আরও ১০% ছাড়।
ফার্মাসি বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করা ফাহমিদা ফারুকের জন্ম ২৮ এপ্রিল, চট্টগ্রামে। পিতা মোহাম্মদ ওমর ফারুক ছিলেন পিএইচপি গ্রুপ অভ ইন্ডাস্ট্রির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সেই সুবাদেই পরিবারসমেত চট্টগ্রামে থেকেছেন প্রায় দেড় যুগেরও বেশি সময়।বর্তমানে তিনি ঢাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা।
ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন,সবকিছুতেই সমানভাবে দক্ষ হওয়ার। সেই স্বপ্ন পূরণেই কাজ করে যাচ্ছেন, করছেন চেষ্টা। শিক্ষাজীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি স্কাউট, বিজ্ঞানমেলায় অংশগ্রহণসহ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এ পর্যন্ত তাঁর অর্জনের ঝুলিতে পুরেছেন ত্রিশটিরও বেশি পুরষ্কার।
লেখালেখির প্রতি আগ্রহের পেছনেও রয়েছে একটি গল্প। স্কুলজীবনে প্রথম হওয়ায় পেয়েছিলেন বৃত্তিসহ গল্পের বই উপহার। মূলত. সেই গল্পের বইটিই মাথায় গেঁথে দেয় সাহিত্যপ্রীতি। আর বড়ভাইয়ের কবিতায় অনুপ্রাণিত হোন এই লেখক। তার পর থেকেই শুরুটা করেন কবিতা দিয়ে। এরপর সৃষ্টি করেন গল্প, উপন্যাস। লিখেছেন অগণিত গান।
তাঁর প্রথম উপন্যাস অনুবাদ হলেও প্রথম প্রকাশিত মৌলিক বই ‘মন খারাপের রং সাদা’ প্রকাশ পায় ২০১৬ সালে। প্রথম বই বেস্ট সেলারের তালিকায় আসার পর থেকেই লেখালেখিতে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল দ্বিগুন। সেই বিশ্বাস থেকেই ফার্মাসিস্ট হয়েও নিজেকে লেখক দাবি করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি।
লেখকের প্রকাশিত আরো বই: মন খারাপের রং সাদা (২০১৬),মৃত্যু ২০১৮) সময় প্রকাশন, মায়াবী মুখোশ (২০২০) সময় প্রকাশন এবং অ্যান্টিডোট, মেডিকেল থ্রিলার(২০২১) নালন্দা প্রকাশন।