সাহিত্য সংগঠনের স্বপ্নদ্রষ্টা শাহ্ মোঃ সফিনূর
আসাদুজ্জামান খোকন
কবি ও সাংবাদিক
শাহ্ মোঃ সফিনূর ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ব বঙ্গের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার পাটলী গ্রামে এক আদর্শ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেণ। শৈশব, কৈশোর সেখানে বেড়ে উঠেন তিনি। তাঁর বাবা শাহ্ মো. দানিছ আলী তিনি একজন আদর্শ কৃষক। মা – শাহ্ মোছাঃ রাবেয়া বেগম (গৃহিনী)। শৈশব থেকেই সাহিত্য প্রেমিক, কঠোর পরিশ্রমী ও উদার মানসিকতার ছিলেন। বর্তমান তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আমেরিকার মিশিগানে বসবাস করছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের হাত ধরেই তাঁর সাথে পরিচয় ঘটে এই অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী শাহ্ মোঃ সফিনূর মহোদয়ের সাথে। পরিচয় হওয়ার মুল কারণ সাহিত্য জগতে তাঁর গভীরভাবে সম্পৃক্ততা। তিনি যে আধুনিক সাহিত্য জগতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উজ্জ্বল নক্ষত্র ও অসাধারণ মানুষ তাঁর সংস্পর্শে না আসলে, বিশ্বাস করার মতো নয়। এক কথায়, নবীন লেখক লেখিকাদের অনুপ্রেরণার মুকুট বলা যেতে পারে তাঁকে, এতে ভুল হবেনা বোধহয় ।
সুদূর আমেরিকা থেকে তিনি যে মায়ায়, যে ভালবাসায় আমাদের কাছে টানেন তা যেনো পরিবারের কাছের মানুষের চেয়েও কম নয়। সাহিত্যপ্রেমের সূত্রে তাঁর সাথে কথা ,বিভিন্ন কাজের মুখোমুখি হওয়া। সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা উনার সাথে প্রায়ই হয়। উনার হাজারো ব্যাস্ততার মাঝেও সাহিত্য বিষয় নিয়ে আমাদের খোঁজ খবর রাখেন তিনি। খোঁজ নিবেন নবীন-প্রবীণ লেখক কেমন আছে, পরিবারের সবাই কেমন আছেন, কোন কবি কেমন কি রকম লিখছেন, তাঁর হাতে গড়া US বাংলা সাহিত্য সম্মেলনে কে কেমন কমেন্ট করছেন, কার লেখা কেমন প্রভৃতি বিষয়।
বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা না করলেও তাঁর মতো সাহিত্য প্রেমীকের বড়োই অভাব। বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কথা ভেবে মাতৃভাষার টানে আমেরিকান প্রবাসী হয়েও নিরলসভাবে কাজ করছেন। তিনি মদনমোহন বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট থেকে বি.কম (অনার্স) এম.কম এবং প্রাইম ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে এল.এল.বি পাশ করেণ।
একজন একনিষ্ঠ সংগঠক হিসেবে জুড়ি নেই তাঁর। সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও সিলেট ‘ল’ কলেজের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন তিনি। এছাড়াও ২০০১ সালে ত্রৈমাসিক পত্রিকা জয়ন্তী ও মাসিক নবজাগরণ পত্রিকার সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দেশ-বিদেশে জড়িত আছেন বহু সাহিত্য, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথেও।
ইতিমধ্যে তাঁর অনবদ্য একক ও যৌথ সম্পাদনায় কাব্য গ্রন্থসমূহঃ সাহিত্যের কুসুম জ্যোতি, মনবিলাষ, মায়াবী যুগল চোখ, স্বপ্ন স্বদেশ উল্লেখযোগ্য।
এমনকি USবাংলা সাহিত্য সম্মেলনের মাধ্যমে সাড়া বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী নবীণ-প্রবীণ সাহিত্যিকদের সাথে আন্তরিক হৃদ্যতা গড়ে তুলতে সক্ষম হোন তিনি। নবীন লেখকদের অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন অবিরত। বাস্তবতায় তাঁর ছায়াতলে অসংখ্য নবীন-প্রবীণ লেখক ও লেখিকা বৃন্দ আজ ।
সম্প্রতি তিনি নবীন-প্রবীণ প্রকৃত সাহিত্যিকগণকে সম্মাননা প্রদানের উদ্যেগ গ্রহণ করেছেন তাঁর ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায়। এছাড়াও তাঁর হাতে গড়া অনলাইন USবাংলা TV তে নিয়মিত টক শো করে দেশ-বিদেশে অবস্থানরত লেখকদের মাঝে অনুপ্রেরণা প্রদান ও সেতুবন্ধন প্রতিষ্ঠা করছেন। যাতে নবীন লেখক লেখিকারা উৎসাহিত হোন। এসব কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। যে কার্যক্রম দেখে সত্যি আমি বিমোহিত। তাঁর দুরদর্শী চিন্তা ধারায় আদর্শ বাঙালির মন-মানসিকতার, নিসন্দেহে বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। স্বদেশ-মাতৃভাষা ও মাতৃভুমির প্রতি উদ্বুদ্ধ থেকে নানান প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই মহানুভব।
সুদূর আমেরিকা থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক গ্রুপ US বাংলা সাহিত্য সম্মেলনের মাধ্যমে নবীন লেখক লেখিকাদের গভীরভাবে আগলে রেখে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী এই মানুষটি বিশ্ব দরবারে ইতিমধ্যেই ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছেন। সাদা মনের সকলের ভালবাসার প্রিয় খ্যাতিমান মানুষ হিসেবে সুপরিচিত আজ। বিশিষ্ট কবি ও সংগঠক হিসেবে আজীবন বেঁচে থাকবেন মানবের হৃদয়ে এই মহানুভব ব্যক্তি শাহ্ মোঃ সফিনূর মহোদয়, যা আমার বিশ্বাস।
মৈত্রী/এফকেএ/এএ