আরো বিষয়উত্তরবঙ্গখবরবাংলাদেশ

দুধকুমার নদের তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ধীরগতি, ভাঙন আতঙ্কে এলাকাবাসী

আসাদুজ্জামান খোকন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর দুধকুমার নদের তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ চলছে ধীরগতিতে। শুষ্ক মৌসুমে দুধকুমার নদে ভাঙন দেখা দেয়ায় এলাকাবাসীদের মধ্যে নতুন করে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানাগেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার নদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১ হাজার ৫০০ মিটার ভাটির টার্মিনেশন সহ তীর সংরক্ষণ কাজের দরপত্র আহবান করে। প্রকল্প তিনটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ কোটি ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৩ টাকা। ঢাকার টিআই-পিভিএল-জেডআই জেভি ও এসএএসআই এবং রংপুরের মেসার্স রূপান্তর নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রকল্প তিনটির কাজ পায়।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইসলামপুর এলাকার দুধকুমার নদের ভাঙন কবলিত তীরে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করে। সামান্য কিছু জিও ব্যাগ ফেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো জিও ব্যাগ ফেলা বন্ধ রাখে। নদের তীর উপর থেকে নিচের দিকে ঢালু করে তারপর জিও ব্যাগ ফেলার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

ভাঙন কবলিত কোনো কোনো স্থানে এখনও জিও ব্যাগ ফেলা হয়নি। এতে ওইসব স্থানে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া বাঁধ নির্মানের জন্য এখনও ব্লক তৈরি কাজ শুরু হয়নি। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে বাঁধের কাজ সমাপ্তের কথা থাকলেও এখনও শতভাগ জিও ব্যাগ ফেলা হয়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ে মধ্যে তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ শেষ না হওয়ার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমের আগে বাঁধ নির্মাণ শেষ করতে না পারলে নদে ভাঙন দেখা দেবে। ভাঙনে শতশত বিঘা ফসলী জমি ও ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল হোসেন বলেন, বর্ষা আসার আগেই বাঁধের কাজ সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে লোকজনকে বারবার তাগাদা দেয়া হলেও তারা কাজ বন্ধ করে বসে আছেন।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার গোলাম রব্বানী বলেন, জিও ব্যাগ বালু দিয়ে ভর্তি করা শেষ হয়েছে কিন্তু কাউন্টিং সম্পন্ন না হওয়ায় জিও ব্যাগ ফেলা সম্ভব হচ্ছে না।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ঢাকা অফিসের পরিদর্শন সংক্রান্ত কারণে তীর সংরক্ষণ কাজে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ইসলামপুরের তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু করা যাবে।

মৈত্রী/এফকেএ/এএ

শেয়ার করুন: