সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মদিন উদযাপন
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক :
ঢাকা : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর দৌহিত্র ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়-এর ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের জয়যাত্রা’ শীর্ষক বিশেষ সেমিনার আয়োজিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও প্রযুক্তি যোগাযোগ বিভাগ-এর উদ্যোগে এবং এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই-এর সহযোগিতায় এই সেমিনার আয়োজন করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি-এর সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এর মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার।
সেমিনারে সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি শীর্ষ প্রকাশনার নতুন সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। পরে অতিথিদের অংশগ্রহণে কেক কেটে সজীব ওয়াজেদ জয়- এর জন্মদিন উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয়-এর ওপর নির্মিত জয়যাত্রা শীর্ষক অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়।
সজীব ওয়াজেদ জয়-এর ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি হয়ে ওঠার কথা বলতে গিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এর মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তফা জব্বার বলেন, আজ আমরা প্রায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে গেছি, শুধু তাই নয় বিশ্বের ৩২তম দেশ হিসেবে নিউক্লিয়ার ক্লাবে যোগদান করেছে বাংলাদেশ। সেইসাথে ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের এই সকল অর্জনের নেপথ্য কাণ্ডারী তারুণ্যের আইকন সজীব ওয়াজেদ জয়। সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শ, দিক-নির্দেশনা ও তদারকিতে বিগত সাড়ে ১৪ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর কোন স্বপ্ন নয়, একটি স্বপ্নের সফল রূপায়নের নাম। এই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে। শ্রাবণের এমন সিক্ত দিনে মাননীয় আইসিটি উপদেষ্টাকে জানাই আন্তরিক অভিবাদন! জন্মদিনের অসংখ্য শুভেচ্ছা আর্কিটেক্ট অফ ডিজিটাল বাংলাদেশ জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়।
সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি এবং স্মার্ট বাংলাদেশের অঙ্গীকার নিয়ে কথা বলেন তথ্য ও যোগাযাগ প্রযুক্তি বিভাগ এর মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহ্মেদ পলক এমপি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বৈশ্বিক ডিজিটাল অগ্রগতি থেকে একটুও পিছিয়ে নেই। অদম্যগতিতে আমরা চলছি তথ্যপ্রযুক্তির এক মহাসড়ক ধরে। আমাদের সাফল্য গাঁথা রয়েছে এই খাতে, যা সত্যিই গৌরব ও আনন্দের। ডিজিটাল দেশ হিসেবে সারাবিশ্বের বুকে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য সবার জন্য কানেক্টিভিটি, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, ই-গভর্নমেন্ট এবং আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি প্রোমোশন-এ চারটি স্তম্ভ নির্ধারণ করে ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন হয়েছে। সততা, সাহসিকতা ও দূরদর্শিতা দিয়ে মাত্র ১৩ বছরে সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে ৪০ শতাংশ বিদ্যুতের দেশ শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। যেখানে ৫৬ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল, আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের যুগোপযোগী পরিকল্পনা ও পরামর্শে ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রযুক্তিশিক্ষায় পারদর্শী করে তুলতে এবং ডিজরাপ্টেড টেকনোলজি সম্পর্কে ধারণা দিতে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩টি বিশেষায়িত ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি জানান, দেশের ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, ৫০০টি জয় ডি-সেট সেন্টার, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৩৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন- ২০০৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তখন তা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা এখন বাস্তবে পরিণত করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়নের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁরই দিকনির্দেশনায় সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভূতপূর্ব সম্প্রসারণ ঘটেছে। তাঁর সময়োচিত দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে একটি মেধাভিত্তিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে। সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আক্ষরিক অর্থেই বৈপ্লবিক কর্মসম্পাদন করেছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়-এর সফল নির্দেশনায় ২০২১ সালের মধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবে রূপ লাভ করেছে। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন তিনি। স্মার্ট বাংলাদেশ-এর অগ্রযাত্রায় দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান বক্তারা। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে ভবিষ্যতের আলোকিত স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনাগুলো তুলে ধরা হয়।
এসময় সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এর সচিব জনাব মো: সামসুল আরেফিন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল, এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) জনাব মো: মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর জনাব আনীর চৌধুরী, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এর সভাপতি জনাব ওয়াহিদ শরীফ, বাক্কো-এর সাধারণ সম্পাদক জনাব তৌহিদ হোসেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর নির্বাহী পরিচালক জনাব রণজিৎ কুমার, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সামী আহমেদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এর সভাপতি সুব্রত সরকার, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর সভাপতি-মো. ইমদাদুল হক’সহ এটুআই ও আইসিটি বিভাগ-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
মৈত্রী/এফকেএ/এএ