বিভিন্ন পরিচয় ঘাপটি মেরে থাকা কুচক্রীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন : মোস্তাফা জব্বার
স্টাফ রিপোর্টার,
লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বিভিন্ন পরিচয়ে ঘাপটি মেরে থাকা কুচক্রিদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। আজ বুধবার গাজীপুরের টঙ্গিতে বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই আহ্বান জানান।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর থেকে একটানা দীর্ঘ একুশ বছর বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র বানানোর জন্য যারা সক্রিয় ছিল তাদের দিন এখনো শেষ হয়নি। তারা ছদ্মবেশে বেশে সুযোগের অপেক্ষায় ঘাপটি মেরে বসে আছে।’
তিনি বলেন, ‘সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা, জেলখানায় চার নেতাকে হত্যা করা কিংবা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যা চেষ্টা অথবা যতবার জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও নৈরাজ্যের চেষ্টা হচ্ছে, মিথ্যা তথ্য বা গুজব ছড়ানো হচ্ছে এসবের লক্ষ্য একটাই বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করা।’
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে হত্যার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনো বাংলাদেশ তার বিপদ অতিক্রম করেছে তা মনে করার কারণ নেই। কেননা একাত্তরের পরাজয় পাকিস্তান ও তাদের দোসররা এখনো ভুলতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর ২৩ বছরের লড়াইয়ের কথা তারা ভুলতে পারছে না।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, কুচক্রিমহলের যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা বুকের এক ফোটা রক্ত থাকতেও বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা সফল হতে দেবে না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা কখনো পরাস্ত হতে পারে না। জাতির পিতা পরাজয়ের শিক্ষা আমাদের দেননি। বঙ্গবন্ধু জীবনে কোথাও মাথা নীচু করেননি- পরাস্ত হননি। তিনি বলেন, যে মানুষটিকে পাকিস্তানিরা কারাগারে রেখে পাশে কবর খুঁড়ে পাকিস্তান টিকিয়ে রাখার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সেই মানুষটি নীতির কাছে মাথা নত করেননি, মৃত্যু ভয় পাননি।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ গত দশ বছরে তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসুরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনের হার দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলোর মধ্যে শীর্ষে। এডিবি‘র মতে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮দশমিক এক সেখানে পাকিস্তানের তিন দশমিক ৯।
তিনি বলেন, প্রতিটি উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে অনেক অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশ বিশ্বঅর্থনৈতিক সূচকেও অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে টেশিস ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকরুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক মো: মশিউর রহমান এবং টঙ্গি থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রজব আলী প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় মহিলা লীগ, ছাত্র লীগ, যুব লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে ১৫ আগস্ট শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।