আর্থ সামাজিক বিকাশে সংস্কৃতির মেলবন্ধন অপরিহার্য- ডেপুটি স্পিকার

কূটনীতিক প্রতিবেদক / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

বেইজিং, ২৮ নভেম্বর ২০১৯,
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সংস্কৃতির মেলবন্ধন অপরিহার্য। সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়।

আজ চীনের বেইজিং এ অনুষ্ঠেয় “ Dialogue on Exchanges and Mutual Learning among Civilizations “ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলনেতার বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, ইতিহাসের প্রচীনতম সময় থেকেই দার্শনিক, বিজ্ঞানী, সাধক, পরিব্রাজক সকলেই প্রতিটি সভ্যতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

এটি সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের বিকাশেও ভূমিকা রেখেছে। চতুর্দশ শতাব্দীতে রেনেসা, অষ্টাদশ শতাব্দীতে শিল্পবিপ্লব,উনবিংশ শতাব্দীতে রুশ বিপ্লবসহ অন্যান্য ঐতিহাসিক ঘটনাসমুহ মানব সভ্যতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।প্রতিটি বিপ্লব একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে সংঘটিত হলেও এর প্রভাব বিশ্বজুড়ে বিস্তার লাভ করে।প্রতিটি বিপ্লবের বিষয়বস্তুই সমতা ও ন্যায়বিচারের জন্য সংঘটিত হয় যা জাতিগোষ্ঠির হৃদয়, ধর্ম,ও অঞ্চলকে প্রভাবিত করে।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত বিকাশ ভৌগলিক দুরত্বকে কমিয়ে আন্তসভ্যতার মধ্যে যোগাযোগকে আরও সহজতর করেছে। আমরা বিশ্বায়নের যুগে বসবাস করলেও বিশ্বটা এখনও শান্তিপূর্ণ হয়ে ওঠেনি। নানাবিধ অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা বেড়েই চলছে।

মানবতার সম্মুখীন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ আরও সংকটাপন্ন হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা, ইউরোপে উদ্বাস্তু সংকট, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় রোহিঙ্গা সংকট প্রভৃতি প্রকট হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সংস্কৃতির জাতিসত্তার মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপরা বৃদ্ধি জরুরি ও সময়ের দাবী।আমরা সাড়া বিশ্বে শান্তি এবং স্থিতি কামনা করি।আমরা ভীতি ও যুদ্ধমুক্ত জীবনযাপনে বিশ্বাস করি। সভ্যতার সৃষ্টি ও তার ধারাবাহিক বিকাশে শিক্ষা একটি কার্যকারী উপাদান। তাই আমরা যখন কোনও উন্নয়নমূলক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করি তখন সকলের জন্য শিক্ষা যে অধিকার সেটিকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।

তিনি বলেন, মানব সভ্যতার বিকাশে এশিয়ার অবদান অপরিহার্য । আমরা এশিয়ানরা একটি উন্মুক্ত ও সুযোগাযোগ ভিত্তিক এশিয়া দেখতে চাই।বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বিকাশের সাথে চলতে হলে বহি:বিশ্বের অঙ্গনে নিজ দ্বার উন্মুক্ত করতে হবে।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তিরূর্ণ সহবস্থান, সামাজিক ন্যায়বিচার, ক্ষুধা দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত বিশ্ব গড়তে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তাঁর অভিপ্রায় জানিয়েছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পৌছানোর লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করেন ডেপুটি স্পিকার।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *