মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মানবতার পক্ষে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতের রায় : ড. হাছান মাহমুদ
স্টাফ রিপোর্টার / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবতার পক্ষে রায় দিয়েছে। এই রায় রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার রক্ষায় বিরাট অগ্রগতি।
তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে আদেশটি বিরাট অগ্রগতি, মানবতার পক্ষে এটি একটি ভালো নির্দেশনা।
হেগের আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে) ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে আফ্রিকার মুসলিম প্রধান দেশ গাম্বিয়ার অনুরোধে করা বেশকিছু জরুরি পদক্ষেপ অনুমোদন করে।
মন্ত্রী বলেন, আদালত আদেশ দিয়েছে যে মিয়ানমার যেন কখনই ‘গণহত্যা কনভেনশন’ লংঘন না করে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বা অন্য কোনও সশস্ত্র দল যেন কোনভাবেই গণহত্যা বা অনুরূপ কাজে জড়িত না হয়। এর আগে যে সমস্ত গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে তার প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে এবং পরবর্তী চার মাস পরে আদালতের আদেশ কার্যকর করার জন্য একটি ‘কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট’ জমা দিতে হবে, এটি পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি ছয় মাস অন্তর জমা দেয়া অব্যাহত রাখতে হবে। হাসান আশা প্রকাশ করে বলেন, মিয়ানমার এই ধরনের নৃশংসতা বন্ধ করবে এবং পূর্ণ নাগরিকত্ব প্রদান করে প্রায় ১১ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নেবে।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইইউ) বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সর্বশেষ গণতন্ত্রের সূচক ২০১৯-এ বাাংলাদেশ আগের বছরের তুলনায় আট ধাপ অগ্রগতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান, মিয়ানমার এবং নেপাল থেকেও বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে, এর অর্থ বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং বিরোধী দলের ‘দেশে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা নেই’ বলে যে অভিযোগ, এর কোনও ভিত্তি নেই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি) অনুসারে বাংলাদেশ ২০১৯ সালের দুর্নীতি অনুধাবন সূচকে (সিপিআই) তিন ধাপ এগিয়েছে। দুটি সূচকের অগ্রগতি প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।