বান্দরবানে ৭ চিকিৎসকসহ কোয়ারেন্টিনে ৪১
মৈত্রী ডেস্ক, দৈনিক সচিত্র মৈত্রী
বান্দরবান : বান্দরবান সদর হাসপাতালে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় সাতজন চিকিৎসক, ১০ জন নার্সসহ ৪১ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সদর হাসপাতালের সাধারণ পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত রোগীর করোনা পজিটিভ হওয়ায় বুধবার দুপুরে তাদের কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ এপ্রিল থানচি থেকে এক যুবক জ্বর নিয়ে বান্দরবান সদর হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। এর আগে ১৬ এপ্রিল ওই রোগীর করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম পাঠানো হয়- যা সে গোপন করে। পরে ২১ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রাম বিআইটিডিআইটি থেকে প্রকাশিত রিপোর্টে তার করোনা শনাক্ত হয়। তাই ওই রোগী ভর্তি থাকাকালে হাসপাতালে দায়িত্বরত দুজন কনসালটেন্ট, তিনজন ইমারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার, একজন সেকমো ও (আরএমও) আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ ১০ জন নার্স, পাঁচজন স্টাফসহ হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের রোগীসহ মোট ৪১ জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে।
এদিকে করোনা শনাক্ত অপরজন থানচির পুলিস সদস্যের সংস্পর্শে আসায় থানচি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা থানার ওসিসহ সাতজনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। এদের সবার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকে পুরো জেলায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. জসিম উদ্দীন বলেন, হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের একজন রোগীর করোনা শনাক্ত হওয়ায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে তার সংস্পর্শে আসা সাতজন ডাক্তার, ১০ জন নার্সসহ ছয়জন স্টাফকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে এবং পুরুষ ওয়ার্ডকে সম্পূর্ণ লকডাউন করা হয়েছে। তাদের সবার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তাদের নমুনায় যদি কেউ পজিটিভ হয়, তবে সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে প্রত্যেকের পরিবারের নমুনা সংগ্রহ করা হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিআইটিডিআইটি থেকে প্রকাশিত করোনা রিপোর্টে বান্দরবানের তিনজন রোগী করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে বান্দরবানে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা চারজন। এদের মধ্যে দুজন থানচি উপজেলার, একজন লামা উপজেলার, একজন নাইংক্ষ্যংছড়ি উপজেলার।
তথ্যসুত্র : মংখিং মারমা
মৈত্রী/ এএ