মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান পরিদর্শনে ৬নং সেক্টরের সাবেক কর্মকর্তারা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রাম : ভূরুঙ্গামারীতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন মুক্তিযুদ্ধের ৬ নম্বর সেক্টরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাগণ।

মুক্তিযুদ্ধের অর্ধশতাব্দি পর গত মঙ্গলবার ৬ সেপ্টেম্বর সকালে মুক্তিযুদ্ধের ৬ নম্বর সেক্টরের অফিসার ক্যাডেট এম.এফ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এমপির নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট লেঃ ইকবাল রশিদ (অবঃ), সেক্টর অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান বীর প্রতীক, মেডিকেল অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা লেঃ কর্ণেল ডাঃ মোঃ গোলাপ হোসেন, অ্যাডজুটেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা এ. মতিন চৌধুরি, সেক্টর অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম (অবঃ), সেক্টর অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব মেজর আশরাফ-উদ-দৌলা (অবঃ), সেক্টর অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর আব্দুস সালাম (অবঃ), অফিসার ক্যাডেট বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবুল বাশার (অবঃ), সিগ্যানালম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফোরকান উদ্দিন (অবঃ) বীর প্রতীক সহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত রায়গঞ্জ ব্রীজ পরিদর্শন করেন এবং জয়মনিরহাটে শহীদ লেঃ আবু মঈন মোহাম্মদ আশফাকুস সামাদের সমাধিস্থল পরিদর্শন করে দোয়া ও পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

লেঃ আবু মঈন মোহাম্মদ আশফাকুস সামাদ সহ আরো দুথজন বীর মুক্তিযোদ্ধা রায়গঞ্জ ব্রীজে পাক বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন।

পরে ৬ নম্বর সেক্টরের সাব-সেক্টর ভারতের সাহেবগঞ্জের দুই কিলোমিটার দুরে বাংলাদেশের ভূরুঙ্গামারীর বাগভান্ডার সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন তারা।

লালমনিরহাটের বুড়িমারী ৬ নম্বর সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল আর ভারতের দিনহাটা থানার সাহেবগঞ্জ সাব-সেক্টর ছিল। এছাড়া দুপুরে ভূরুঙ্গামারীর অবসরপ্রাপ্ত সেনা ও মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে মুক্তিযুদ্ধের ৬নম্বর সেক্টর ও সাব-সেক্টরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়।

সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুল মজিদ সরকারের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া ৬নম্বর সেক্টরর মুক্তিযুদ্ধকালীন অন্যান্য কর্মকর্তাগণ বক্তব্য দেন। এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুন্নবী চৌধুরি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম টুকু উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে সমিতির পক্ষ থেকে অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

মৈত্রী/এফকেএ/এএ

শেয়ার করুন: