শরিকরা বিরোধীদলে থাকলেই ভাল : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরীকরা বিরোধী দলে থাকলে তা তাদের জন্যও ভালো, সরকারের জন্যও ভাল।
তিনি বলেন, কারণ সংসদে শক্তিশালী বিরোধীদল থাকলে সরকারের ভুল-ত্রুটি সংশোধন করা সুবিধা হয়। দায়িত্বশীল বিরোধিতা দেশের গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য।
কাদের আরো বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ১৪ দলের শরিকরা অনেকে বিরোধীদলের ভূমিকা পালনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশাল বিজয় উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আগামী ১৯ জানুয়ারি শনিবারের বিজয় সমাবেশের মাঠ পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি, শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সদস্য মির্জা আজম এমপি ও এসএম কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল একটি আদর্শিক জোট এবং মহাজোট হলো কৌশলগত একটি নির্বাচনী জোট।
তিনি বলেন, ১৪ দল এবং মহাজোট ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সম্পর্কের কোন টানাপোড়েন নেই। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সম্প্রতি দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির এখন লেজেগোবরে অবস্থা, আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে ভাঙ্গনের সুর।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের বক্তব্য শুনে মাঝে মাঝে ভয় হয়, বেপরোয়া গাড়ির চালক যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে জানমালের ক্ষতি করে তেমনিভাবে তিনি (ফখরুল) বেপরোয়া রাজনীতিবিদের মতো দেশের ক্ষতি না করে বসেন।
কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতি আমরা ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতার সঙ্গে দেখছি। কারণ হেরে যাওয়ার পর অনেকেই বেপরোয়া হয়ে যেতেই পারে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনে বিশাল জয়ের পর যে বিশাল দায়িত্ব থাকে সে বিষয়ে স্মরণ করিয়ে দেবেন।
কাদের বলেন, আমরা বর্তমান সরকারের মেয়াদে মুজিব বর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। আমরা উন্নত বাংলাদেশ ও ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এসকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেবেন।