রোগী ও স্বজনের মানসিক অবস্থাকে মানবিকতার সাথে অনুভবের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ (লিগ্যালভয়েস টোয়েন্টিফোর ডটকম) : হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনের মানসিক অবস্থাকে মানবিকতার সাথে অনুভব করার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ সচিবালয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)’র মহাসচিব প্রফেসর ডা. ইহতেশামুল হক দুলালের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এই আহ্বান জানান। এ সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবাকে অধিকতর রোগীবান্ধব হিসাবে গড়ে তুলতে চিকিৎসক, নার্স এবং সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মাঝে ইতিবাচক ও সেবামূলক মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। দেশের গ্রামে গঞ্জে খেটে খাওয়া কোটি কোটি মানুষের অতি সাধারণ প্রত্যাশা, তারা যেন হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের আন্তরিক ছোঁয়া পায়।’ তাদের আকাংখা যেন চিকিৎসকদের সেবায় প্রতিফলিত হয় সেদিকে সচেতন থাকতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের আবাসন সংকটের উদ্যোগ দ্রুততম সময়ের মধ্যে নেওয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য দুইটি করে ডরমেটরি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শীঘ্র্ই নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী বিভাগীয় পর্যায়ে ক্যান্সার ও কিডনী হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা দেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, মাঠ পর্যায়ে চিকিৎসক স্বল্পতা দুর করতে খুব শীঘ্রই আরো ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। নতুন এই চিকিৎসকদেরকে গ্রামে পদায়ন করা হলে হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট অনেক কমে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছর চিকিৎসা শিক্ষার মান বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে দীর্ঘদিন পর নতুন ৭৫০টি আসন বাড়ানো হয়েছে। আগামীতে উচ্চতর শিক্ষার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে বলেও তিনি জানান।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকেও এখন থেকে নিয়মিত কঠোর নজরদারির আওতায় আনা হবে।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)’র নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে বলেন, হাসপাতালে অনাকাংখিত ঘটনা এড়াতে চিকিৎসক ও রোগীদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে।
স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান এবং মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজের নেতৃত্বে কার্যকরী কমিটির ৪০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান