স্বাধীনতা দিবসের আগে বিতর্কহীন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়পত্র দেয়া হবে : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ লিগ্যালভয়েস : সকল মুক্তিযোদ্ধা বিতর্কের উর্ধ্বে তাদেরকে আগামি ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আগেই পরিচয়পত্র দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পরিচয়পত্রধারী বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে সকল সরকারি পরিবহনে বিনাভাড়ায় যাতায়তের ব্যবস্থা করা হবে। সব সরকারি অফিসে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাঁদেরকে বসার আসন প্রদানসহ সেবা প্রদানের নির্দেশনা দেয়া থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘যে সব মুক্তিযোদ্ধাগণের বিষয়ে বিতর্ক আছে অথবা যে মুক্তিযোদ্ধাগণ অবৈধ পন্থায় তালিকাভুক্ত হয়েছেন তাদের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে নিশ্চিত হয়ে পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে। তদন্তে ভুয়া প্রমাণিত হলে তাদের সরকারি ভাতা বন্ধ করে দেয়া হবে।’
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণের বিশেষ উদ্যোগের কথা উল্লে¬খ করে মন্ত্রী বলেন, ১০ মিনিট করে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার গল্প রেকর্ড করা হবে এবং তা স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য জাতীয় আর্কাইভসে রাখা হবে, যাতে সুদীর্ঘকাল পর্যন্ত পরবর্তী প্রজন্ম গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা জানতে পারে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ সংগঠনের সকল স্থানে এবং বধ্যভূমিতে একই ডিজাইনের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে ।
আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় আগামি ৫ বছরে মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থানের জন্য ১৬ হাজার বাড়ি নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে খরচ হবে ১৫ লাখ টাকা।
মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের দাফনের খরচ ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হবে। আগামি বাজেট থেকে মুক্তিযোদ্ধাগণের মাসিক সম্মানীভাতাও বৃদ্ধি করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, “সকল কাগুজে সনদ এখন থেকে অগ্রহণযোগ্য হবে। সকল সনদপত্র ওয়েব সাইটে দেয়া থাকবে। ফলে কেউ আর জাল সনদপত্র ব্যবহার করতে পারবেন না। যে কোনো প্রয়োজনে ওয়েব সাইট থেকে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হবে।”
সাবেক বিচারপতি ও বীরমুক্তিযোদ্ধা মুনসুরুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক খান এনায়েত করিম, সুপ্রিমকোর্ট মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহবায়ক শফিউদ্দিন ভূইয়া, জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মিনহাজউদ্দিন এম কামাল, শিক্ষাবিদ, গবেষক ড. আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।